ইচ্ছে করেই ‘অবৈধ অ্যাকশনে’ বোলিং করেছিলেন সাকিব!
গত বছর কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে সারের হয়ে একমাত্র ম্যাচ খেলতে গিয়েই সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশনে নিষিদ্ধ হন সাকিব আল হাসান।
রোববার ‘বিয়ার্ড বিফোর উইকেট’ পডকাস্টে তিনি জানালেন, তার ওই অ্যাকশন আসলে ছিল ‘আংশিক ইচ্ছাকৃত’
ডিসেম্বরে লাফবোরো ইউনিভার্সিটিতে স্বতন্ত্র পরীক্ষায় তার বোলিং অ্যাকশনে ত্রুটি ধরা পড়ে। এরপর ইসিবি তাকে সব ধরনের প্রতিযোগিতায় বোলিং থেকে বিরত রাখে। আইসিসির নীতিমালা অনুযায়ী, এই নিষেধাজ্ঞা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও প্রযোজ্য হয়।
সাকিব বলেন, ‘আমার মনে হয় ইচ্ছে করেই একটু ভুল করেছিলাম। ৭০ ওভারের (এক ম্যাচে) বেশি বল করেছিলাম। যা আমি টেস্ট ক্যারিয়ারেও কখনো বল করিনি। সমারসেটের বিপক্ষে টন্টনে ম্যাচটা খেলছিলাম, আর সত্যিই খুব ক্লান্ত ছিলাম।’
পাকিস্তান সিরিজের পরই সারে যোগ দিয়েছিলেন তিনি, যা তাকে আরও ক্লান্ত করে তোলে। সাকিব যোগ করেন, ‘দুটি টেস্ট খেলে ক্লান্ত অবস্থায় সরাসরি চার দিনের ম্যাচ খেলতে যাই। ভাবছিলাম আম্পায়ার অন্তত প্রথমবার সতর্ক করবে। কিন্তু নিয়ম তার হাতে, তাই অভিযোগ করিনি।’
পরীক্ষায় ব্যর্থ হওয়ার পর অ্যাকশন ঠিক করতে তাকে বেশ পরিশ্রম করতে হয়।
সাকিব বলেন, ‘পরীক্ষায় ফেল করার পর নিজের ফুটেজ দেখলাম। বুঝলাম কোথায় সমস্যা। কয়েক সপ্তাহ অনুশীলন করলাম, সারের কোচিং স্টাফও সাহায্য করেছে। দু-একটা সেশনেই দেখি স্বাভাবিক হয়ে গেছি। তখন মনে হলো—এত সহজ!’
গত মৌসুমে সারের হয়ে তিনি এক ম্যাচে ৬৩.২ ওভার বল করেছিলেন—প্রথম ইনিংসে ৩৩.৫ ওভার ও দ্বিতীয় ইনিংসে ২৯.৩ ওভার। পরে তৃতীয়বারের বোলিং মূল্যায়নে উত্তীর্ণ হয়ে আবার বল করার অনুমতি পান। তবে চেন্নাইয়ে দ্বিতীয় পরীক্ষায় ব্যর্থ হওয়ায় বিসিবির নির্বাচকেরা তাকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে রাখেননি।
বোর্ড জানায়, ব্যাটার হিসেবে অবশ্য সব ফরম্যাটেই তিনি উপলব্ধ থাকবেন।
বিপি/ এএস
