আফগান নারীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আহ্বান জাতিসংঘের

Bangla Post Desk
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত:০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৫৬ পিএম
আফগান নারীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আহ্বান জাতিসংঘের
আফগানিস্তানে ৬ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্পে ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর বোরকা পরা আফগান নারীরা নিরাপদ স্থানের দিকে হেঁটে যাচ্ছেন।ছবি: রয়টার্স

আফগানিস্তানের সরকারি অফিসগুলোতে নারীদের কাজের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।

তালেবান কর্তৃপক্ষের প্রতি এ আহ্বান জানিয়ে বিশ্ব সংস্থাটি বলছে, এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকলে আফগানিস্তরের গুরুত্বপূর্ণ জীবনরক্ষাকারী সেবা হুমকির মুখে পড়বে।

২০২১ সালে তালেবান ক্ষমতায় ফেরার পর থেকে আফগান নারীদের অধিকাংশ কর্মক্ষেত্র, পার্ক, বিউটি স্যালন এবং ১২ বছর বয়সের পর স্কুলে যাওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

গত সেপ্টেম্বর থেকে তালেবান জাতিসংঘের আফগান নারী কর্মীদের দেশটির জাতিসংঘ অফিসে প্রবেশে বাধা দিতে শুরু করে।

জাতিসংঘ নারী সংস্থার আফগানিস্তান–বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি সুসান ফার্গুসন এক বিবৃতিতে বলেন, আফগান নারী কর্মী ও কনট্রাক্টরদের জাতিসংঘ কার্যালয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হোক, এবং তাদের অফিস ও মাঠ পর্যায়ে নিরাপদ প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা হোক।

তিনি সতর্ক করে বলেন, এই নিষেধাজ্ঞা যত দীর্ঘায়িত হবে, জীবনরক্ষাকারী সেবাগুলো তত বেশি ঝুঁকিতে পড়বে।

ফার্গুসন আরও বলেন, এই পদক্ষেপ জাতিসংঘের মানবাধিকার ও সমতার নীতির পরিপন্থি।

বিবৃতিতে কতজন কর্মী এতে প্রভাবিত হচ্ছেন তা উল্লেখ করা হয়নি, তবে জাতিসংঘের সূত্রগুলো জানিয়েছে—সংখ্যাটি কয়েক শত।

গত তিন মাস ধরে নারী কর্মীরা দূর থেকে কাজ করছেন। এর মধ্যে রয়েছে ভয়াবহ ভূমিকম্পের ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা এবং পাকিস্তান ও ইরান থেকে ফেরত পাঠানো আফগান অভিবাসীদের সাহায্য করার মতো গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম।

ফার্গুসন বলেন, আফগান নারী সহকর্মীদের কাজ অপরিবর্তনীয় এবং শুধু তাদের উপস্থিতির মাধ্যমেই আমরা নারীদের ও কন্যাশিশুদের কাছে নিরাপদে পৌঁছাতে পারি এবং সাংস্কৃতিকভাবে সংবেদনশীল সহায়তা দিতে পারি।

বার্তা সংস্থা এএফপি এ বিষয়ে তালেবান কর্তৃপক্ষের কাছে মন্তব্য চাইলে সঙ্গে সঙ্গে কোনো মন্তব্য জানায়নি তারা।

উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বরেই জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (UNHCR) ফেরত আসা আফগান অভিবাসীদের জন্য নগদ সহায়তা স্থগিত করেছিল। কারণ—ফেরত আসা নারীদের সংখ্যা ৫০ শতাংশেরও বেশি, যাদের সাক্ষাৎকার নেওয়া ও তথ্য সংগ্রহ করা তালেবানের নিষেধাজ্ঞা–সংশ্লিষ্ট কারণে অসম্ভব হয়ে পড়েছিল।