বগার বউ সব জানে পর্ব-১
খুব শখ করেই ভগবান সিং তার প্রথম পুত্র ধনের নাম রাখছিলেন বেণু গোপাল সিং। কিন্তু ভাবতেও পারেন নাই যে এত সুন্দর খানদানি নামডারে পাড়া-পড়শি ভাইঙ্গা ছুঁইরা চাইপ্যা-দুমড়াইয়া, কাইট্যা-কুইট্যা এক্কেবারে ছোট্ট একটা নাম দিয়া হগ্গলডা গেরামের রসিকতার পাত্র বানাইয়া দিবে। একটু একটু কইরা ছোট্ট ছোট্ট পা ফালাইয়া খিল খিল কইরা হাইসতে হাইসতে এবড়ো-থেবড়ো হইয়া ছোট্ট বেণু গোপাল যখন হাঁটতে শুরু করে তখন থেইক্যা পাশের বাড়ীর বেণুর জ্যাঠাত বোন সবিতা একদিন এক ফুটন্ত দুপুরের শেষ লগ্নে এই অঘটনটি ঘটাইয়া বসাইলো। দুহাত বাড়াইয়া মুখটাকে আ্যমিবার মতো প্রসস্থ করিয়া “আয় আয় আমাগো বাইন্যা” বইল্যা প্রথম এই আলকাতরা মার্কা বক্র রেখা নামটি দিয়া সম্বোধন কইরাই সর্বনাশটা ঘটাইলো।
সেই দিন থেইক্যাই মূলত: বেণুর নাম বদলের গল্পটা শুরু। আর সবিতাই এসবের নাটের গুরু। অঘটন ঘটনের পটীয়সী। "বাইন্যা" নামে ডাকা শুরু হবার পর, ধীরে ধীরে নামটা গাঁয়ের সব মানুষের মুখে এমনভাবে কাঁঠালের আঠালের মতো লেপ্টে গেল যে বেণু নিজের আসল নামটাই প্রায় ভুলে যেতে লাগল। মজার ব্যাপার, স্কুলে মাস্টারমশাই যখন তাকে রোল-কল করতেন, বেণু দাঁড়াইতে ভুইলা যাইত। কারণ, নাম শুনে সে নিজেকে চিনতেই পারত না। কিছুদিন পর কেউ আর "বেণু" নামটা ব্যবহারই করলই না। পাড়ার ছোট থেকে বড়, সবাই একবাক্যে "বাইন্যা" বলে ডাইকা উঠত। যেন তার আসল নাম কখনো ছিলই না। কিন্তু মজার ব্যাপার হইলো বাইন্যা নামটাও বেশিদিন টিকল না। একেকজন একেক নামে ডাকতে শুরু করলো নিজের মতো কইরা। কেউ বলতে শুরু করলো গোপাইল্যা, কেউ বলে বাইন্যা। আবার কেউ কেউ বাইন্যা গোপাল। কিন্তু শেষ নামটাও শেষ পর্যন্ত নাকি অনেকের পোষাইলো না।
এতো বড়ো নামে ডাকতে গেলে মানুষের জিভ বাঁকা হইয়া যায়, জিব কাইট্যা যায়, গালের কোনে ভাঁজ পইড়া যায়, ঠোঁট নাকি অনেক দীর্ঘ করতে হয়। আবার কারো কারো নাকি মুখ থেকে দুই ঠোঁটের ফাঁক দিয়ে অহেতুক থুতু ছিটকায়ে পড়ে। কাহিনী এমন দাঁড়াইলো যে নামটার শেষ পর্যন্ত ভয়ানক পরিণতি হইলো। ছুড়ি হাতল দিয়া কাটতে কাটতে আরও ছোট কইরা ফালাইয়া দুই অক্ষরে নামাইয়া দিলো। শেষে গেরামের বুদ্ধি এক জায়গায় আইসা থাইমল: বগা! আর এইভাবেই বেণু গোপালের পরিচয় বদলাইয়া গেলো। এখন গেরামে কেউ আর আসল নামটা জানেও না। সবাইর কাছেই ভগবান সিং এর একমাত্র ছাওয়ালের নাম হইলো বগা। বগার মাও আসল নামে না ডাইক্যা মাঝে মাঝে হাঁক ডাকে “বগা কই রে…”।
বগা ছেলেটাও নামের মতোই একেবারে সোজাসাপ্টা। বাবা ভগবান সিং গেরামের নামজাদা জমিদার গোছের কৃষক। বড়-বড় ক্ষেতের জমি, গরু, গোমস্তা, সবকিছুই আছে। কিন্তু দীর্ঘশ্বাসের কমতি নাই। একটাই মাত্র পোলা। তাই আবার ভগবান যেন ইচ্ছে করেই কৃপণতার সাথে বুদ্ধির মাত্রাটা কমাইয়া দিলো। এই নিয়ে ঠাকুর-গোসাই মানা ভক্তি-মায়া স্ত্রীর সব ঠাকুরের গোষ্ঠি উদ্ধার করতেও দ্বিধা করলেন না ভগবান সিং। কিন্তু ফলতো আর কিছুই হলো না। যেটা ছিল, তা-ই রয়ে গেল। যে লাউ সেই কদু। তবে বগার যে কোনো গুণ ছিল না, এটা বললে হয়তো বগার প্রতি মারাত্মক অবিচার করা হবে।
বগার আসলে একটা বিশেষ গুণ আছে বৈকি। যেখানে-সেখানে ছক্কা মারা প্রশ্ন ছুঁড়ে মানুষকে বিব্রতকর ও অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে ফেলায় বগার জুড়ি মেলা ভার। বগা যেন একটি রেডিও স্টেশন। নানান খবর রাখা তার নিত্য-নৈমিত্তিক কাজ। গ্রামের এপাড়া-ওপাড়ার খবর থেকে শুরু করে এই অঞ্চল পেরিয়ে দেশের নানা খবর সম্পর্কে বেশ ওয়াকিবহাল সে।
ইদানিং বগার নজর আরও বিস্তৃত হয়েছে। বিদেশের রাজনীতি, অর্থনীতি, এমনকি সামাজিক কার্যক্রম সম্পর্কেও তার বেশ আগ্রহ এবং পর্যবেক্ষণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বগা যেন এক আধুনিক বিশ্ব নাগরিক হয়ে উঠছে সে। এইসব কারণে অনেকেই এখন বগাকে দূর থেকে দেখলেই সতর্ক হয়ে যায়। কেউ কেউ তো চালাকি করে গা ঢাকা দেওয়ার পথও খুঁজে নেয়। কারণ, বগার প্রশ্নের জালে ধরা পড়া মানেই একধরনের অস্বস্তিকর পরীক্ষা দিয়ে আসা।
তবে বগার এই গুণগুলো তার বাবাকে খুশি করতে পারেনি। তার মতে, এগুলো শুধু ছন্নছাড়া বোকা ও বেখেয়ালি মানুষদের বৃথা কাজ। বগার কাছে ভগবান সিংয়ের চাওয়াটা আদতে খুব বেশি কিছু নয়।
তার পিতার একমাত্র চাওয়া পাওয়া ছিল বগা যেন একটু দেখেশুনে থাকে। তার চারপাশের কাজকর্মে মনোযোগ দেয়। কথা বলার সময় যেন একটু সাবধান থাকে। বেশি কথা না বলে, যতটুকু সম্ভব মুখ বন্ধ রাখে। কারণ, বগার মুখটাই ছিল সব বিপদের মূল। একে একে, সব সমস্যার জন্ম ওখানেই। কারণ তার মুখে কখনোই কোন কথা আটকে থাকত না। মুখের বলিষ্ঠতা ছিল এমন যে, যে কোন মুহূর্তে, যে কোন পরিস্থিতিতে, খাটে হাঁড়ি ভাঙ্গার মতো অপ্রীতিকর বমি বমি ভাব করা পরিস্থিতির সৃষ্টি করতো। কখনোই কিছুই নিঃশব্দে থাকতে পারতো না।
পড়াশুনায় বগা ছিল এক্কেবারে বকলম। মাথায় যেন গোবরে ভর্তি। তাও যদি কোনো কাজে আসা ভালো গোবর হতো, তাহলেও ভগবান সিংহর ইজ্জতটা থাকতো। এ যেন পুরোপুরি অকাজের গোসাই।
ওইটা তো বগার জিন্দেগিতে মস্ত বড়ো সমস্যা। চেষ্টা করছিল, কিন্তু শেষমেশ থাইম্যা গেলো প্রাইমারি স্কুলের গণ্ডিতেই। বগা একদিন বলে উঠলো-“আমি আর পরতাম না। আমি বিয়া কইরাম”।
সেদিন বগার মা লজ্জায় মাথা নিচু করে মুখে শাড়ীর আচল চেপ্টে ধরে গোঁয়ারের মতো অগ্নিকুন্ডুলী চোখ করে সেখান থেকে প্রস্থান করিয়াছিলেন। প্রস্থানকালে মুখে বির বির কইরা অপদার্থ অযোগ্য ছাওয়ালকে বেশ কিছু বকা-ঝকা করতে দেখা গেল।
তবে একটা জায়গায় ভগবান সিং বড় চিন্তা করলেন না। বগার আঠার বছরে পা দিতেই বগার জন্য বউ ঠিক করলেন। ধুমধাম কইরা বিয়া দিলেন। বউটা গ্রামেরই মেয়ে, কিন্তু সে বড় বুদ্ধি রাখে। গ্রামের লোকেরা বলে, বগার বউ চালাক আর তেজি। আর বগার ধারণা, তার বউ সব জানে। তা থেক্যাও বেশি জানে। স্মার্টফোন মুঠে থাকে সব সময়। চলাফেরায়ও বড্ডো স্মার্ট।
বগার বিয়াডাতে হইছিল এমন এক কাণ্ড যে গেরামের মানুষ আজও সেইদিনের গল্প কইরা পোলাপানেরে হাসায়। ভগবান সিং যখন ঠিক করলো, ছাওয়ালের বিয়া দিতে হইব, তখন আসলে উনার মাথায় আরেকটা চিন্তাও ছিল। বগা তো একেবারে সোজা মানুষ, এমন একটা বউ আনতে হবে যে সংসারটা সামলাইতে পারবে। বউটা যদি একটু চালাক-চতুর হয়, তাতেই কাজ হবে। আর এইভাবেই শুরু হইলো লক্ষ্মী নামের মেয়েটার খোঁজখবর।
লক্ষ্মী গেরামেরই মেয়ে। দেখতে খারাপ না, কথাবার্তা একেবারে ঝকঝকে। পাত্রীর মা কইলো, “লক্ষ্মীর তো হাতের কাজেও ভালো, মুখের কথাতেও পটু। এমন মেয়ে তো মেলা পাইবা না।” ভগবান সিং শুনেই খুশি। বগারে তখন ডেকে বললো, “দেখ, মাইয়ারে গিয়া একবার নিজের চোখে দেইখ্যা আয়। পরে কইস না, পছন্দ হয় নাই।”
বগা কি আর বলে? বাবার কথায় মাথা ঝাঁকাইল। পাত্রীর বাড়ি যাইয়া লক্ষ্মীর মুখের দিকে তাকাইতেই বগার মাথা একদম খারাপ হইয়া গেল। বোকার মতো হা কইরা লক্ষ্মীর দিকে বড়ো বড়ো চোখ দিয়া তাকাইয়া ছিল অনেকক্ষণ। পায়ের নিচে মাটি সরে যাইলো না, এইটাই ভাগ্য। লক্ষ্মী একটা পান মুখে দিয়া চিবাইতে চিবাইতে কইলো, “আপনের নাম বগা, তাই না? শুনেছি খুব সিধা- সাধা মানুষ। সিধা পুরুষই ভালা লাগে আমার। চালাকি বেশি থাকলে সংসারে মজা লাগে না। তবে হুনছি আপনি নাকি একটু বেশী কথা কন? এইডা বন্ধ করন লাগব”
বগার মুখ দিয়ে কথাই বের হইলো না। বাপের সামনে কি আর বেশি কথা কয়! শুধু মনে মনে ভাবে, “বউ যদি এইরকম হয়, তহন আর কি লাগে?”
বিয়ের দিনটা ছিল মহা ধুমধাম। গেরামের লোকজন খুশি, কারণ গরুর গাড়ি দিয়া শোভাযাত্রা হইবো। কিন্তু বিপত্তি হইলো খাওয়ার টেবিলে। বগা ভোজনের ব্যাপারে খুবই সাদাসিধা। আর এই কারণে তার বন্ধুরা একে একে নানান বিপদ ঘটাইতে লাগলো। একজন তার মিষ্টির প্লেটে নুন ছড়াইয়া দিল, আরেকজন তরকারির মধ্যে মরিচ ঢাইল্যা দিল। বগা খাইতে গিয়া যখন ঠোঁট-মুখ মরিচের ঝালায় কাহিল, তখন সবাই একসাথে ফেটে পড়লো হাসিতে।
বউ লক্ষ্মী কিন্তু এইসব দেখে একটুও রাগ করলো না। বরং পাশ থাইকা হাসি থামায়া কইলো, “এই মজাগুলা হইলো জীবনের স্বাদ। কিন্তু আর একবার কইরা দেখেন, তখন বুঝবেন আমি কি করতে পারি।”-এই বলে মুখটাকে পেঁচিয়ে ঘুড়িয়ে নিল।
বগার বউয়ের এই কথা শুইন্যা বন্ধুরা চুপ। বগা মনে মনে ভাবে, “বউ তো দেখি একদম হুশিয়ার!”
বিয়া শেষ হইলো। লক্ষ্মী ঠিক করলো, এই সংসারটাকে সে একদম নিজের মতো কইরা চালাইবে। বগা হোক বা তার বাপ, কেউ যেন মুখ খুইলা কিছু না কইতে পারে। আর সেই থেকেই গেরামে ছড়াইতে শুরু করলো নতুন বউয়ের গল্প: “বগার বউ লক্ষ্মী আর তার চালাকি। বগা এখন শুধু মাথা ঝাঁকায়। কারণ বউ সব জানে!”
একদিন সন্ধ্যায় বগা হাতে একটা ভাঙা রেডিও নিয়া ঘরে ফিরলো। মুখে কেমন জানি একটা গাম্ভীর্যের ভাব। বউ লক্ষ্মী দরজায় দাঁড়াইয়া জিগাইলো, “এইডা আবার কি আনলা?”
বগা গর্বের সঙ্গে উত্তর দিলো, “বাজার থেইক্যা আনছি। দোকানদার কইলো, পুরাণ দিনের আসল রেডিও! দামে খুব কম পাইলাম।”
লক্ষ্মী রেডিওটা হাতে নিয়া ভালো কইরা দেখলো। তারপর বললো, “বগা, এইডা পুরাণ দিনের আসল রেডিও না। এইডা পুরাণ মাইক। এইডা দিয়া তুমি গান চালাইলেও গেরামের মানুষ কান ঢাইক্যা দৌড়াইয়া পালাইবো। এইডা মাইক না রেডিও হেডাও তুমি বুঝতে পারো না?”
বগা লজ্জায় মাথা চুলকাইতে চুলকাইতে বললো, “এইডা কি কইলা? দোকানদার তো ভালোই কইছিল!”
লক্ষ্মী হাসতে হাসতে কইলো, “তুমি একটা বেকুব! এখন থেকে কিছু কিনতে গেলে আমারে জিগাইয়া কিনবা। সবকিছু জানো তুমি? না, জানো কিছু?”
বগা চুপ কইরা গেলো। এরপর হাওয়ার মতো গেরামে এই কাহিনী ছড়াইয়া গেলো, আর গ্রামের চায়ের দোকানে বগাকে নিয়া হাসাহাসি চলতে থাকলো। সেন্টু কাকা, চায়ের দোকানদার, জিগাইলো, “বগা, তোরে বউ কি কইলো?”
বগা সরল মুখে উত্তর দিলো, “বউ কইছে, আমি কিছু জানি না। বউ সব জানে।”
পরদিন সকালে চায়ের দোকানে বসে সেন্টু কাকা আবার বগারে খোঁচা দেয়, “বগা, বউরে যদি বাজারে নিয়ে আসছ, তোর তো ইজ্জত একেবারে শেষ হইয়া যাইব। মানুষ তোকে কইবো ‘লক্ষ্মীর চাকর’!”
বগা তাতে গায়ে মাখে না। চায়ের কাপে চুমুক দিয়া বলে, “গেরামে সবাই জানে, বউ চালাক হলে পুরুষ সুখে থাকে। আমি সুখে আছি। তুমাগো খবর কি?”
কথা শুনে দোকানে বসা লোকেরা আরও জোরে হাসে। কিন্তু বগার চেহারায় একটুও বিব্রত ভাব নাই। বরং সে হাসি মুখে নিজের ঢালাও যুক্তি দিয়ে যায়, “দেখো, আমি না বুঝলেও আমার বউ সব বুঝে। এইডা তো বড় কথা।”
লক্ষ্মীর কথা বগা সারা গেরামে এমনভাবে ছড়ায় যে সবার মুখে মুখে নতুন একটা প্রবাদই জন্ম নেয়: “বগার বউ সব জানে!”
আর এখান থেকেই শুরু হোক আমাদের এক নতুন আঙ্গিকের গল্প “বগার বউ সব জানে!”
আসলেই তাই! বগার বউ জানে সবকিছু। রাজনীতি থেকে অর্থনীতি, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক থেকে সমাজের গভীর সংকট। ফেইস বুক থেকে ইদানিং কলের পোলা-পাইনদের কাম-কারবার। মানুষের আচরণ, জীবনের সুখ-দুঃখ, হাসি-তামাশা, সহজ-কঠিন সবকিছুর খোঁজ তার জানা। ষড়রিপুর রহস্য থেকে শুরু করে টিকটক বা সোশ্যাল মিডিয়ার সর্বশেষ ট্রেন্ড—কিছুই তার দৃষ্টি এড়ায় না।
সে যেন এক চলমান বিশ্বকোষ। তার জ্ঞান আর বিচক্ষণতায় আমরা সবাই মুগ্ধ। তবে বগার বউ-এর সবচেয়ে মজার দিক হলো তার বলার ধরন একটু ভিন্ন, একটু অভিনব, আর ঠিক সেখানেই লুকিয়ে তার আসল ম্যাজিক!
তবে যদি কোনো প্রশ্ন থাকে আপনাদের, তবে দেরি না করে সরাসরি বগার বউকেই জিজ্ঞেস করুন। তিনি ঠিক সুন্দর করে বাবা জর্দায় পান চিবুতে চিবুতে লাল জ্বিহ্বা আকিয়ে-বাকিয়ে উত্তর দেবেন এমনভাবে যে আপনার মনে হবে, "এত সহজ উত্তর আগে কেন মাথায় আসেনি?" তার কাছে সব প্রশ্নের উত্তর আছে। "গুগল -ফুগল করা লাগবে না, বগার বউই যথেষ্ট।
লেখক- শিক্ষক, গবেষক এবং কলামিস্ট।
