মেধাবীদের ভেড়াতে বিলিয়ন ডলারের মহাপরিকল্পনা কানাডার

Bangla Post Desk
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত:১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:৩৩ পিএম
মেধাবীদের ভেড়াতে বিলিয়ন ডলারের মহাপরিকল্পনা কানাডার
কানাডার টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট জর্জ ক্যাম্পাসের একটি চিত্র।ছবি— রয়টার্স

বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় সব গবেষকদের কানাডায় পেতে মঙ্গলবার ১.৭ বিলিয়ন কানাডীয় ডলারের (প্রায় ১.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) একটি মহাপরিকল্পনা ঘোষণা করেছে দেশটি।

মূলত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতির কারণে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়তে চাইছেন- এমন মেধাবীদের আকৃষ্ট করার অংশ হিসেবেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

বুধবার টরন্টো থেকে এ তথ্য জানিয়েছে এএফপি।

এর আগে, কানাডার বৃহত্তম হাসপাতাল নেটওয়ার্ক এবং টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়সহ শীর্ষ প্রতিষ্ঠানগুলো কয়েক মিলিয়ন ডলারের আলাদা পরিকল্পনা ঘোষণা করেছিল। ট্রাম্প প্রশাসনের বৈজ্ঞানিক গবেষণা খাতে ব্যাপক কাটছাঁটের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত বিশেষজ্ঞদের আকৃষ্ট করাই ছিল এর মূল লক্ষ্য।

এবার কানাডার ফেডারেল সরকারও একই প্রচেষ্টায় যুক্ত হলো। তারা একে বলছে, ‘বিশ্বে এ ধরনের অন্যতম বৃহত্তম নিয়োগ কর্মসূচি।’

এই পরিকল্পনাটি অবশ্য কেবল ট্রাম্পের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত মার্কিন গবেষকদের জন্যই বিশেষভাবে তৈরি করা হয়নি।

শিল্প ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এর লক্ষ্য হলো ফরাসি ভাষাভাষীসহ ‘১ হাজারেরও বেশি শীর্ষ আন্তর্জাতিক এবং বিদেশে থাকা কানাডীয় গবেষককে আকৃষ্ট ও সহায়তা করা।’

তবে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে শিল্পমন্ত্রী মেলানি জোলিকে জিজ্ঞেস করা হয় যে, ট্রাম্পের কারণে বিক্ষুব্ধ বিজ্ঞানীরা এই কর্মসূচির লক্ষ্য হবেন কি না?

জবাবে জোলি বলেন, ‘কিছু দেশ একাডেমিক স্বাধীনতা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। আমরা তা করব না।’

বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, ট্রাম্পের নীতি বিশ্বব্যাপী মেধাবী গবেষক নিয়োগ প্রতিযোগিতায় বড় পরিবর্তন আনতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিপুল অর্থ ও শক্তিশালী ফেডারেল তহবিলের কারণে এ প্রতিযোগিতায় আধিপত্য করেছে।

ট্রাম্পের তহবিল কাটছাঁট বিভিন্ন গবেষণা প্রকল্পকে প্রভাবিত করেছে। বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈচিত্র্য, সমতা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক গবেষণা প্রকল্পকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।

এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নও যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকদের টানতে ৫০০ মিলিয়ন ইউরো (৫৮২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। তারা বলছে, ২৭ জাতির এ জোটকে ‘গবেষকদের জন্য আকর্ষণ কেন্দ্র’ বানানো হবে।

জোলি জানান, অগ্রাধিকার হবে বিদেশে কর্মরত শীর্ষ কানাডিয়ান গবেষকদের দেশে ফিরিয়ে আনা।

তিনি বলেন ‘কানাডায় আমরা দীর্ঘদিন ধরে ব্রেইন ড্রেইনের কথা বলেছি। এখন আমরা আশা করছি, ঘরের মানুষদের আবার ঘরে ফিরিয়ে আনতে পারব।’