মনোনয়ন পেয়ে যেসব প্রতিশ্রুতি দিলেন পাটওয়ারী
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৫২ এএম
এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা-১৮ (উত্তরা পূর্ব, উত্তরা পশ্চিম, উত্তরখান, দক্ষিণখান, খিলক্ষেত, তুরাগ ও বিমানবন্দর থানা) আসনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মনোনয়ন পেয়েছেন দলটির প্রধান সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বাংলামোটর কার্যালয়ে দলীয় মনোনীত প্রার্থীদের প্রথম ধাপের প্রাথমিক তালিকা ঘোষণা করে এনসিপি।
এদিন মনোনয়ন পাওয়ার পর ৯টার দিকে ঢাকা-১৮-এর জনগণের উদ্দেশ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি দীর্ঘ পোস্ট দিয়েছেন নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।
তিনি লিখেছেন, আমি ঢাকা-১৮ (উত্তরা পূর্ব, উত্তরা পশ্চিম, উত্তরখান, দক্ষিণখান, খিলক্ষেত, তুরাগ ও বিমানবন্দর থানা) আসনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মনোনীত প্রার্থী হিসেবে জনগণের সামনে একটি দৃঢ় অঙ্গীকার রাখতে চাই। নির্বাচন আচরণবিধি শুধু আইন নয়, এটি রাজনৈতিক নৈতিকতার ভিত্তি। নতুন বাংলাদেশে আমরা চাই অতিরিক্ত টাকার জৌলুস নয়, স্বচ্ছতা ও গণবিশ্বাসের রাজনীতি। আচরণবিধি অনুযায়ী প্রত্যেক প্রার্থী তার আসনের প্রতি ভোটারের জন্য সর্বোচ্চ ১০ টাকা ব্যয় করতে পারেন। ঢাকা-১৮ আসনে ডিসেম্বর ২০২৩ অনুযায়ী ভোটার সংখ্যা ৫ লাখ ৮৮ হাজার ৬০৮ জন। সেই হিসেবে আমার নির্বাচনি ব্যয়ের সর্বোচ্চ সীমা: ৫,৮৮,৬০৮ × ১০ = ৫,৮৮,৬০,৮০ (৫৮ লাখ ৮৬ হাজার ৮০ টাকা)।
এটাই আমার সীমা, এবং এই সীমার বাইরে আমি এক টাকা ব্যয়ও করতে চাই না। কারণ, যে পরিবর্তনের কথা বলি, সেই পরিবর্তন নিজেকেই আগে ধারণ করতে হবে। এই পুরো অর্থ আমি ক্রাউড ফান্ডিংয়ের মাধ্যমে জনগণের কাছ থেকেই সংগ্রহ করব। এই প্রচারণা হবে জনগণের প্রচারণা, তহবিল হবে জনগণের তহবিল, আর শক্তি হবে জনগণের শক্তি। নির্বাচন শেষে টাকার প্রতিটি হিসাব জনগণের সামনে সম্পূর্ণ স্বচ্ছভাবে প্রকাশ করা হবে। কারণ স্বচ্ছতা শুধু প্রতিশ্রুতি নয়, এটি আমার রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতির মূল ভিত্তি।
আমি যা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি-
১) টাকা নয়, নীতি, স্বচ্ছতা ও সততার রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করব।
২) কোনো অবৈধ ব্যয়, অযথা প্রদর্শন বা প্রভাব খাটানো হবে না।
৩) কাজ হবে মাঠে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে, দরজায় দরজায় গিয়ে কথা বলে।
৪) যে বাংলাদেশ দুর্নীতি ও প্রভাবশালীদের দখল থেকে মুক্ত, সেই চেতনা ধারণ করব।
৫) আমার প্রচারণায় থাকবে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ, তাদের কণ্ঠ, তাদের স্বপ্ন।
কেন এই সিদ্ধান্ত?
কারণ নতুন বাংলাদেশ মানে:
১) রাজনীতির নামে অপচয় নয়, দায়িত্ববোধ
২) বিলবোর্ডের রাজনীতি নয়, মানুষের সমস্যার সমাধান
৩) টাকার প্রভাব নয়, যোগ্যতা ও জনসমর্থন
৪) ভোট কেনা নয়, আস্থা অর্জন
ঢাকা-১৮ আসন থেকেই আমরা দেখাতে চাই যে সৎ রাজনীতি সম্ভব, নিয়ম মেনে রাজনীতি সম্ভব, আর জনগণের টাকায় নয়, জনগণের ভালোবাসায় জেতা সম্ভব। আমি বিশ্বাস করি, নতুন বাংলাদেশ তৈরি হবে নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতি দিয়ে। ঢাকা-১৮ হবে সেই পরিবর্তনের প্রথম আলোকবর্তিকা।
বিপি/আইএইচ
