যৌন হয়রানির বিচার দাবিতে সোচ্চার নারী খেলোয়াড়রা
ক্রীড়াঙ্গনে যৌন হয়রানির প্রতিবাদে প্রথমে মুখ খোলেন জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের তারকা অলরাউন্ডার জাহানারা আলম। এরপর থেকে একে একে মুখ খুলতে শুরু করেন অন্য ইভেন্টের ভুক্তভোগী নারী ক্রীড়াবিদরাও।
এর প্রেক্ষিতে ক্রীড়াঙ্গনে রীতিমতো তোলপাড় শুরু হয়ে যায়। গঠিত হয় তদন্ত কমিটি। কিন্তু এই তদন্ত কমিটি নিয়েও ভুক্তভোগী থেকে শুরু করে ক্রীড়াঙ্গনের অনেকেই অসন্তুষ প্রকাশ করেন। আবার যাদের বিরূদ্ধে নিপীড়নের অভিযোগ তাদের অনেকেই এখনো স্ব স্ব পদে বহাল রয়েছেন।
এসবের প্রতিবাদ জানিয়ে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামের ২ নম্বার গেইটের সামনে বিভিন্ন ব্যানারে মানবন্ধন করেন ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়া সংগঠকরা।
এতে বক্তারা অভিযুক্তদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে দ্রুত বিচারের দাবি করেন।
মানবন্ধনে উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত সাবেক ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় কামরুন নাহার ডানা, স্বর্ণ জয়ী শুটার সাবরিনা সুলতানা, শারমিন আক্তার রত্না, ক্রিকেট সংগঠক জিয়াউর রহমান তপু, সাব্বির আহমেদ রুবেল, তাবারাকুল ইসলাম আরিফ, সাইফুল ইসলাম সপু, সোলেমান মেহবুব এলাহী মুরাদ, অনিমেস দাস, নাজমুল কবীর সেন্টু,আদনান, নিপু, সবুজ, ফয়সাল, কাদের, সাবেক জাতীয় ভলিবল খেলোয়াড় নাসিমা চৌধুরী শিরীন, শুটার শারমিন শিল্পা, তাসমিয়াতি এমা, সাবেক ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় নাজমা সিদ্দিকী শিমুলসহ আরও অনেকে।
ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় কামরুন নাহার ডানা বলেন, ‘ভিকটিম যাদের নাম বলেছে সেখানে কোনো তদন্তের প্রয়োজন নেই। এখনই বিচার করতে হবে। মনে রাখতে হবে, একটি মেয়ে নিজে নির্যাতিত না হলে এরকম কথা সে কখনো বলতে পারে না। যদি ব্যবস্থা নেওয়া না হয় তাহলে ক্রীড়াঙ্গন থেকে মেয়েরা হারিয়ে যাবে।’
শুটার তাসমিয়াতি এমা শুটিং ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক সাবেক শুটার জি এম হায়দারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘যার বিরুদ্ধে অভিযোগ তাকে এখনই বহিষ্কার করতে হবে। তার কাছে কোনো মেয়েই নিরাপদ নয়।’
শ্যুটার শারমিন আক্তার রত্না বলেন, ‘অভিযুক্তরা এখনো বহাল তবিয়তে আছেন। এতে তদন্ত কমিটির ওপর প্রভাব বিস্তার করা হবে। আবার তদন্ত কমিটি বিলম্ব করছে। কিন্তু কেন?
সাব্বির আহমেদ রুবেল বলেন, ‘বিসিবির একজন পরিচালকের নাম আসার পরও তিনি এখনো আগের মতোই কাজ করে যাচ্ছেন। তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ না করা পর্যন্ত তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হোক।’
সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘যাদের বিরুদ্ধ অভিযোগ তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিতে হবে। নতুবা তদন্ত কাজে প্রভাব বিস্তার করা হবে।’
