গণহত্যার পক্ষে দাঁড়ানো মাচাদোকে শান্তি পুরস্কার; নোবেল ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে মামলা
ভেনেজুয়েলার বিরোধী নেত্রী মারিয়া কোরিনা মাচাদোকে নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রদানকে ‘তহবিলের অপব্যবহার’ এবং ‘যুদ্ধাপরাধে উসকানি’ হিসেবে অভিহিত করে সুইডেনে ফৌজদারি অভিযোগ দায়ের করেছেন জুলিয়ান আসাঞ্জ। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য নিশ্চিত করেছে।
উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতা আসাঞ্জ সুইডিশ আইনের আওতায় নোবেল ফাউন্ডেশনের নেতৃত্বসহ মোট ৩০ জনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনেন। তার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে:
মাচাদোকে দেওয়া প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ সুইডিশ ক্রোনার (১১ লাখ ৮০ হাজার ডলার) বন্ধের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
আসাঞ্জের দাবি, এই পুরস্কারের অর্থ এমন একজনকে দেওয়া হচ্ছে যিনি বিদেশি সামরিক আগ্রাসন ও যুদ্ধের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে, নোবেলের অর্থ মানবতার কল্যাণে ব্যয় হওয়ার বদলে আগ্রাসনের কাজে ব্যবহারের ঝুঁকি রয়েছে।
আসাঞ্জ তার অভিযোগে দাবি করেন, ১৮৯৫ সালে আলফ্রেড নোবেলের করা উইলের মূল চেতনার চরম পরিপন্থী এই পুরস্কার। নোবেলের দলিলে স্পষ্ট বলা ছিল যে, শান্তি পুরস্কার এমন ব্যক্তি বা সংস্থাকে দেওয়া হবে যারা ‘জাতির মধ্যে ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠায়’ সর্বোচ্চ ভূমিকা রাখবে। অথচ মাচাদো ভেনেজুয়েলার বৈধ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক হস্তক্ষেপের জোর সমর্থন জানিয়েছেন।
গত অক্টোবরে মাচাদোকে শান্তি পুরস্কার দেওয়া হলেও তার অবস্থান নিয়ে বিশ্বজুড়ে শুরু থেকেই বিতর্ক ছিল।
গাজায় ইসরায়েলের হামলার প্রকাশ্য সমর্থন জানিয়েছেন মাচাদো। এমনকি পুরস্কার পাওয়ার পর বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে আলাপকালে তিনি ভেনেজুয়েলার দূতাবাস জেরুজালেমে স্থানান্তরের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন।
এছাড়া ভেনেজুয়েলার ওপর ডোনাল্ড ট্রাম্পের কঠোর অবরোধ এবং লাতিন আমেরিকার উপকূলে মার্কিন সামরিক বাহিনীর সাম্প্রতিক অভিযানের প্রতি মাচাদোর অকুণ্ঠ সমর্থন রয়েছে।
২০২৪ সালে দীর্ঘ কারাভোগ ও আইনি লড়াই শেষে মুক্তি পেয়ে নিজ দেশ অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে যাওয়া জুলিয়ান আসাঞ্জ আবার বিশ্ব রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে এলেন এই মামলার মাধ্যমে। আসাঞ্জ মনে করেন, শান্তি পুরস্কারকে যদি ভূ-রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়, তবে এর নৈতিক ভিত্তি ভেঙে পড়বে।
যদিও নোবেল শান্তি পুরস্কার নরওয়ে থেকে ঘোষণা করা হয়, তবে আর্থিক লেনদেন যেহেতু স্টকহোমভিত্তিক নোবেল ফাউন্ডেশন নিয়ন্ত্রণ করে, তাই আসাঞ্জ সুইডেনেই এই মামলাটি দায়ের করেছেন।
আরও খবর
২০২৫ এ যে নক্ষত্রদের হারাল বিশ্ব
ইমরান খান ও বুশরা বিবির ১৭ বছর কারাদণ্ড
এবার ইউক্রেনের বন্দরে রাশিয়ার ক্ষেপনাস্ত্র হামলা, নিহত ৭
ভারতের ৪ রাজ্যের বাংলাদেশ দূতাবাসে নিরাপত্তা বৃদ্ধি
রাশিয়াকে এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ফেরত নিতে বলছে তুরস্ক, কারণ কী