রাশিয়াকে এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ফেরত নিতে বলছে তুরস্ক, কারণ কী
রাশিয়াকে এস ৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ফেরত নিতে অনুরোধ জানিয়েছে তুরস্ক। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের বরাত
দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে মিডল ইস্ট আই।
গত বুধবার ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান গত সপ্তাহে তুর্কমেনিস্তানে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে এই অনুরোধ জানান। রুশ ও তুর্কি কর্মকর্তাদের মধ্যে প্রাথমিক আলোচনার পর এই শীর্ষ বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম বারাক জানান আঙ্কারা এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে এফ ৩৫ যুদ্ধবিমানের উৎপাদন ব্যবস্থায় তুরস্কের পুনরায় অন্তর্ভুক্তি নিয়ে আলোচনা এগোচ্ছে। তিনি বলেন তুরস্কের কাছে থাকা এস ৪০০ নিয়ে কথা চলছে।
২০১৯ সালে রাশিয়ার কাছ থেকে এস ৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনার পর তুরস্ককে এফ ৩৫ যৌথ উৎপাদন প্রকল্প থেকে বাদ দেওয়া হয়। সিরিয়ায় সামরিক অভিযান এবং গ্রিসের আকাশসীমা লঙ্ঘনের অভিযোগে মার্কিন কংগ্রেস তখন থেকেই আঙ্কারার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। এতে তুরস্কের ওপর নিষেধাজ্ঞাও আরোপ হয়।
২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিলের সংশোধনীতে তুরস্ককে এফ ৩৫ না দেওয়ার সিদ্ধান্তে বলা হয় দেশটিতে রুশ এস ৪০০ থাকলে কোনোভাবেই যুদ্ধবিমান সরবরাহ করা যাবে না। এই শর্তে তুরস্ক দীর্ঘদিন আটকে ছিল।
এস ৪০০ ফেরত চাইতে যাওয়ায় তুরস্কের অবস্থান বড় বদলের ইঙ্গিত দিয়েছে। আগে দেশটি ব্যবস্থা নিজের কাছেই রেখে এফ ৩৫ চাওয়ার চেষ্টা করেছিল। এখন বিশ্লেষকদের মতে তুরস্ক চায় কূটনৈতিক অচলাবস্থা কাটিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সামরিক সম্পর্ক উন্নয়ন করতে। এর একটি সমাধান হতে পারে এস ৪০০ ব্যবহার না করে সংরক্ষণে রাখা এবং নিয়মিত ন্যাটো পর্যবেক্ষণ।
মার্কিন নেতৃত্বে ট্রাম্প প্রশাসনে তুরস্ককে ঘিরে আলোচনা আরও দ্রুত এগোতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। পররাষ্ট্র বিশেষজ্ঞ অ্যারন স্টেইন জানিয়েছেন ট্রাম্প তুরস্কের সঙ্গে নতুন সামরিক চুক্তিতে যেতে প্রস্তুত। তিনি বলেন তুরস্ক সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং সৌদি আরব এফ ৩৫ এর বড় ক্রেতা হতে পারে।
এস ৪০০ ফেরত পাঠালে তুরস্কের জন্য এফ ৩৫ কেনা সহজ হবে কি না সেটিই এখন আন্তর্জাতিক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।
সোর্স: ব্লুমবার্গ
বিপি/আইএইচ