মাদক ইস্যু
ভেনেজুয়েলাকে ট্রাম্পের কড়া হুঁশিয়ারি
ভেনেজুয়েলায় শিগগিরই স্থল অভিযানের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। শুধু সমুদ্রপথ নয়, মাদক সন্ত্রাসীরা যেখানে থাকবে, সেখানেই অভিযান চালানো হবে বলে কঠোর হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
মাদকবিরোধী অভিযানের আড়ালে ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রের উত্তেজনা দ্রুত বাড়ছে। মার্কিন নৌবাহিনীর অভিযানে ভেনেজুয়েলার সন্দেহভাজন মাদকবাহী নৌকা টার্গেট করে দ্বিতীয় দফা ‘ডাবল-ট্যাপ’ হামলার অভিযোগ তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি করেছে।
তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দাবি করেছেন, দ্বিতীয় দফার হামলা সম্পর্কে তিনি কিছুই জানতেন না। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) মন্ত্রিসভার বৈঠকে ট্রাম্পের দাবি, শুধুমাত্র প্রথম দফার সফল অভিযান সম্পর্কে তিনি জানতেন।
মার্কিন সমরমন্ত্রী পিট হেগসেথও বলেন, প্রথম ধাপের অভিযান সরাসরি দেখার পর তিনি অন্য কাজে চলে যান। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, নৌবাহিনীর এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা দ্বিতীয় হামলার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
এদিন মন্ত্রিসভার বৈঠকে ট্রাম্প ঘোষণা দেন, ভেনেজুয়েলায় স্থল অভিযান করা হবে। তিনি বলেন, মাদকবিরোধী অভিযান আর কেবল সমুদ্রেই সীমাবদ্ধ থাকবে না; কারাকাসের যে কোনো এলাকায় মাদক সন্ত্রাসীরা থাকলে সেখানেই হামলা চালানো হবে। যুক্তরাষ্ট্রে মাদক পাঠালে যে দেশ বা ব্যক্তি হোক, সবাইকেই এর জবাব দিতে হবে।
এদিকে রয়টার্স জানিয়েছে, ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে ফোনে এক সপ্তাহের মধ্যে পদত্যাগ করে দেশত্যাগের পরামর্শ দিয়েছিলেন ট্রাম্প। তাকে পরিবারের নিরাপত্তার নিশ্চয়তাসহ পছন্দমতো দেশে যাওয়ার সুযোগ দিতে চেয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ট্রাম্প–মাদুরোর ১৫ মিনিটের কথোপকথনে মাদুরো শর্তসাপেক্ষে দেশ ছাড়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি ‘সম্পূর্ণ আইনি দায়মুক্তি’, তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে চলমান মামলা বাতিলের দাবি জানান।
তবে ট্রাম্প এসব দাবির বেশিরভাগই প্রত্যাখ্যান করে বলেন, মাদুরোর হাতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য মাত্র এক সপ্তাহ সময় রয়েছে।
গত ২৮ নভেম্বর সেই আল্টিমেটাম শেষ হয়। পরদিন ট্রাম্প ভেনেজুয়েলার আকাশসীমা ‘অবৈধভাবে বন্ধ’ ঘোষণা করেন। এরপর ৩০ নভেম্বর ট্রাম্প স্বীকার করেন যে, মাদুরোর সঙ্গে তার টেলিফোনে কথা হয়েছে, তবে বিস্তারিত প্রকাশ করেননি।
বিপি/ এএস
