রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ
যুদ্ধ বন্ধে সমঝোতায় পৌঁছাতে ব্যর্থ রাশিয়া
মস্কোয় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রতিনিধিদের মধ্যে দীর্ঘ পাঁচ ঘণ্টার বৈঠকের পরও ইউক্রেন যুদ্ধের ইতি টানতে শান্তিচুক্তির বিষয়ে কোনো চূড়ান্ত সমাধান হয়নি।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স বলছে, মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) রাতে প্রায় ৫ ঘণ্টা ধরে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেন ট্রাম্পের দূত তার সাবেক ব্যবসায়িক সহযোগী স্টিভ উইটকফ এবং তার জামাতা জ্যারেড কুশনার। তবে এদের দুজনের কেউই এখনো মার্কিন সিনেটের আনুষ্ঠানিক অনুমোদনপ্রাপ্ত নন।
উরোপে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে প্রাণঘাতী এই সংঘাত থামানো ট্রাম্পের প্রেসিডেন্সির অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি কখনও পুতিনকে, আবার কখনও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে কঠোর ভাষায় সমালোচনা করেছেন।
ট্রাম্প তার দ্বিতীয় মেয়াদজুড়ে বিশ্বের জটিলতম সংকটগুলো সমাধানের জন্য বারবার তার অতি ঘনিষ্ঠ সহচর ও ব্যবসায়িক সহযোগীদের ওপর আস্থা রাখছেন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ইতি টানতে দ্রুত একটি শান্তিচুক্তি চূড়ান্ত করতে এমন প্রচেষ্টায় করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তবে দীর্ঘ বৈঠকেও এর কোনো সমাধান আসেনি।
উশাকভ বলেন, পুতিন আলোচনায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বার্তা এবং ট্রাম্পের জন্য শুভেচ্ছা পাঠিয়েছেন, তবে উভয় পক্ষই আলোচনার বিস্তারিত প্রকাশ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তিনি আরও জানান, আলোচনায় ‘ভূখণ্ডগত সমস্যা’ অর্থাৎ ডনবাস অঞ্চল নিয়ে রাশিয়ার দাবি নিয়েও কথা হয়েছে। রাশিয়া পুরো ডনবাসকে নিজের অংশ বলে দাবি করলেও অন্তত ৫ হাজার বর্গকিলোমিটার অঞ্চল এখনও ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। প্রায় সব দেশই ডনবাসকে ইউক্রেনের অংশ হিসেবেই স্বীকৃতি দেয়।
উশাকভ বলেন, ‘মার্কিন প্রস্তাবগুলোর কিছু কিছু মোটামুটি গ্রহণযোগ্য, তবে সেগুলো নিয়ে আরও আলোচনা দরকার। অনেক প্রস্তাব আমাদের উপযোগী নয়। কাজ চলবে।’
মার্কিন প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের আগে এক বিনিয়োগ ফোরামে পুতিন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘ইউরোপের সঙ্গে মস্কো যুদ্ধ করতে চায় না। তবে ইউরোপ যদি যুদ্ধ চায় তাহলে রাশিয়া সেই যুদ্ধ এখনই শুরু করতে প্রস্তুত।’
এ বক্তব্যে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘পুতিন স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে তিনি যুদ্ধ শেষ করতে চান না।’
উল্লেখ্য, রাশিয়া ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলা চালায়। এরপরই মস্কো ও পশ্চিমা বিশ্বের সম্পর্ক স্নায়ুযুদ্ধের পর সবচেয়ে তীব্র সংকটে পড়ে।
বিপি/ এএস
