ধর্মেন্দ্রর মৃত্যু, শোক বার্তায় যা বললেন মোদি
বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেতা ধর্মেন্দ্র আর নেই। সোমবার (২৪ নভেম্বর) সকালে মুম্বাইয়ের জুহুতে নিজ বাসায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। ৮ ডিসেম্বর তার ৯০তম জন্মদিন পালন করার কথা ছিল।
এদিন সংবাদ সংস্থা পিটিআই, এএনআইসহ ভারতের একাধিক গণমাধ্যম তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
তবে শুরুতে যখন দু-একটি গণমাধ্যম নির্মাতা করণ জোহরের বরাতে তার মৃত্যুর খবর প্রচার করেছিল, তখনো অনেকেই বিশ্বাস করতে পারছিলেন না যে ধর্মেন্দ্র আর নেই।
কারণ কিছুদিন আগেই একাধিক ভারতীয় গণমাধ্যম তার মৃত্যু ইস্যুতে ভুয়া সংবাদ প্রচার করেছিল।
তবে, খোদ দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন এক্স হ্যান্ডেলে শোকবার্তা দেন, তখন তার ভক্তকূলের মাঝে ছড়িয়ে পড়ে বিষাদ।
মোদি লিখেছেন, ‘ধর্মেন্দ্র জি’র চলে যাওয়ার মাধ্যমে ভারতীয় সিনেমা জগতে এক অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটল। তিনি ছিলেন সিনেমা জনতের একজন আইকনিক ব্যক্তি। ছিলেন অসাধারণ একজন অভিনেতা, যিনি যে চরিত্রে অভিনয় করতেন, তার ভেতরে ঢুকে যেতেন। এমন কষ্টের মুহূর্তে আমি তার পরিবার, বন্ধু-বান্ধব ও ভক্তদের সমবেদনা জানাচ্ছি।’
এর আগে বলিউড নির্মাতা করণ জোহর লেখেন, ‘মেইনস্ট্রিম সিনেমার আদর্শ নায়কের প্রতিচ্ছবি তিনি। ভারতীয় চলচ্চিত্রের প্রকৃত কিংবদন্তি। এক ও অদ্বিতীয় ধর্মেন্দ্র জি… আপনাকে আমরা গভীরভাবে মিস করব’।
মাত্র ১২ দিন আগেই মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান ধর্মেন্দ্র। অক্টোবরের শেষ দিকে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
১৯৩৫ সালে লুধিয়ানা জেলার একটি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন ধর্মেন্দ্র। ১৯৬০ সালে ‘দিল ভি তেরা হম ভি তেরে’ সিনেমার মাধ্যমে তার অভিষেক ঘটে। ষাটের দশকে ‘বন্দিনী’, ‘আই মিলন কি বেলা’, ‘খামোশি’র মতো সিনেমায় রোমান্টিক নায়ক হিসেবে জনপ্রিয়তা পান। ১৯৬৫ সালে চেতন আনন্দের যুদ্ধনির্ভর চলচ্চিত্র ‘হকিকত’-এ অভিনয় করে সমালোচকদের প্রশংসা কুড়ান। ১৯৬৬ সালে ‘ফুল অউর পাথর’ তাকে বড় পর্দার বাণিজ্যিক নায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠা দেয়।
