নতুন ‘মিস ইউনিভার্স’ কে এই ফাতিমা
‘মিস ইউনিভার্স’-এর ৭৪তম আসরে বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ মুকুট জয় করেছেন মেক্সিকান সুন্দরী ফাতিমা বশ। এরপর থেকেই আলোচনায় নতুন এই মিস ইউনিভার্স।
এ সুন্দরী প্রতিযোগিতায় ১২১ দেশের প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেছিলেন। এ আসরে বাংলাদেশ থেকে প্রতিনিধিত্ব করেন মডেল ও অভিনেত্রী তানজিয়া জামান মিথিলা।
মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, ২৫ বছর বয়সি ফাতিমা বশকে বিজয়ীর মুকুট পরিয়ে দেন ২০২৪ সালের মুকুট বিজয়ী ডেনমার্কের ভিক্টোরিয়া কেজার থাইলভিগ। এবারের আসরে রানারআপ হয়েছেন থাইল্যান্ডের প্রভিনার সিং।
মেক্সিকোর তাবাস্কো অঙ্গরাজ্যের সান্তিয়াগো দে তেয়াপায় জন্ম ফাতিমার। মেক্সিকোতে ফ্যাশন ডিজাইন নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। ইতালির মিলান ও যুক্তরাষ্ট্রের ভারমন্টেও থেকেছেন কিছুদিন।
স্কুলজীবনে ডিসলেক্সিয়া ও এডিএইচডির কারণে বুলিংয়ের শিকার হয়েছেন ফাতিমা। সেটি স্বীকারও করে নিয়েছেন।
২০১৮ সালে তাবাস্কোতে ‘ফ্লোর ডি ওরো’ খেতাব জয়ের মধ্য দিয়ে শুরু হয় তার সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার পথচলা।
২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি ইতিহাস গড়েন তাবাস্কো থেকে প্রথম নারী হিসেবে ‘মিস ইউনিভার্স মেক্সিকো’ খেতাব জিতে। ওই সময় তার জয় নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়।
এবারের মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতা চলাকালেও ফাতিমাকে নিয়ে আলোচনা হয়। থাইল্যান্ডের মিস ইউনিভার্স পরিচালক নওয়াত ইৎসারাগ্রিসিল ফাতিমাকে সামাজিক মাধ্যমে থাইল্যান্ডের প্রচার না করার জন্য অভিযুক্ত করেন এবং তার প্রতি অসম্মানজনক মন্তব্য করেন। ফাতিমা যখন প্রতিক্রিয়া জানাতে যান, তখন পরিচালক তাকে ‘মূর্খ’ বলে আক্রমণ করেন।
ফাতিমা চুপ করে না থেকে, তার সম্মান দাবি করেন এবং সঙ্গে সঙ্গে প্রতিযোগিতা বন্ধ করে বেরিয়ে আসেন। এই ঘটনার পর বিশ্বজুড়ে তার প্রতি সহানুভূতির ঝড় ওঠে। ফাতিমা বলেন, ‘আমরা শক্তিশালী নারী, আমাদের কণ্ঠস্বর কখনও বন্ধ করা যাবে না।’
প্রতিযোগিতায় ফাতিমা একের পর এক নজরকাড়া লুক তুলে ধরেন। ১৯ নভেম্বরের প্রিলিমিনারি ইভেন্টে তিনি নিজেকে প্রমাণ করেন তিনটি অত্যাশ্চর্য পোশাকে—প্রথমে এক রঙিন জাতীয় পোশাক যা মেক্সিকান ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতিকে উদযাপন করে, তারপর একটি সুতীব্র লাল সাঁতারের পোশাক এবং সর্বশেষে সান্নিধ্যপূর্ণ, ঝলমলে গাউন যা তার আত্মবিশ্বাস ও পোশাকের বৈশিষ্ট্যকে ফুটিয়ে তোলেন।
