পতিতাবৃত্তির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ
যা বললেন বহিষ্কৃত জামায়াত নেতা
কুয়াকাটায় নিজ বাড়িতে অনৈতিক কাজে জড়িতদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে জামায়াতে ইসলামীর এক স্থানীয় নেতাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত নেতার নাম মো. আ. হালিম, যিনি কুয়াকাটা পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন।
গত ২১ ডিসেম্বর কুয়াকাটা ও কলাপাড়া উপজেলা জামায়াতের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের (রুকন) এক বিশেষ বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কুয়াকাটা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কুয়াকাটা পৌর জামায়াতের আমির মাওলানা মো. শহীদুল ইসলাম এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, অভিযুক্ত নেতার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলো জামায়াতে ইসলামীর নীতি ও আদর্শের চরম পরিপন্থী। সংগঠনের শৃঙ্খলা ও নৈতিক মানদণ্ড বজায় রাখতে তাকে প্রাথমিক সদস্যপদসহ সকল দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
পৌর জামায়াতের সাবেক আমির মাওলানা মোহাম্মদ মাঈনুল ইসলাম মন্নান বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী একটি আদর্শভিত্তিক সংগঠন। এখানে ব্যক্তির চেয়ে সংগঠনের নৈতিকতা বড়। অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সামান্যতম প্রমাণ পাওয়া গেলে দল কঠোর অবস্থান নিতে দ্বিধা করে না।’
কলাপাড়া উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মোহাম্মদ আব্দুল কাইয়ুম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সাংগঠনিক নীতিমালা ও আদর্শ রক্ষার স্বার্থেই এই তড়িৎ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এদিকে বহিষ্কারের বিষয়ে মো. আ. হালিম তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
তিনি দাবি করেন, ‘আমার বাসায় ছয়টি পরিবার ভাড়া থাকে। এর মধ্যে একটি বাসায় মা-মেয়ে পরিচয়ে চার নারী দুই মাস আগে ভাড়া নিয়েছিলেন। তারা বাইরে কী কাজ করতেন, তা আমার জানা ছিল না।’
তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়েই বহিষ্কার করা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন এবং এ বিষয়ে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করার ঘোষণা দেন।