স্বামীর তথ্যেই গ্রেফতার হন আয়েশা, জানা গেল চাঞ্চল্যকর তথ্য
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা–মেয়ে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গৃহকর্মী আয়েশাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে আটক করা হয়েছে তার স্বামী রাব্বীকেও। ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার একটি বাড়ি থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, আয়েশার স্বামী রাব্বীর দেওয়া তথ্যের সূত্র ধরেই নলছিটি থেকে আয়েশাকে আটক করা সম্ভব হয়েছে।
তদন্তে আরও জানা গেছে, ছয় মাস আগে মোহাম্মদপুরের বেড়িবাঁধ এলাকার আরেকটি বাসায় চুরির ঘটনাতেও আয়েশা জড়িত ছিলেন বলে ধারণা করছে পুলিশ।
তেজগাঁও বিভাগের এডিসি মোহাম্মাদ জুয়েল রানা জানান, প্রথমে সাভার এলাকা থেকে রাব্বীকে আটক করা হয়। তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে নলছিটির একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে আয়েশাকে গ্রেফতার করা হয়।
বুধবার দুপুর ১২টার দিকে নলছিটি থেকে আয়েশাকে গ্রেফতার করা হয় বলে নিশ্চিত করেছে স্থানীয় পুলিশ। তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে। একই সঙ্গে তার স্বামীর সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তাকেও মামলায় গ্রেফতার দেখানো হতে পারে।
এডিসি জুয়েল রানা আরও বলেন, ক্লু-লেস এই ডাবল মার্ডারের রহস্য উদঘাটনের চেষ্টায় বের হয়ে আসে আয়েশার আগের চুরির ঘটনাসহ একাধিক তথ্য।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আয়েশাকে যেখান থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে, সেটি তার দাদা শ্বশুরের গ্রামের বাড়ি।
এ বিষয়ে নলছিটি থানার ওসি আশরাফ আলী বলেন, ‘আয়েশার স্বামীর বাড়ি থেকেই তাকে ধরা হয়েছে। বিস্তারিত তথ্য ঢাকার তদন্ত টিম জানাবে।’
উল্লেখ্য, গত সোমবার (৮ ডিসেম্বর) মোহাম্মদপুরের একটি বাসা থেকে লায়লা ফিরোজ (৪৮) ও তার মেয়ে নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজ (১৫)-এর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই দিন রাতেই লায়লার স্বামী আ জ ম আজিজুল ইসলাম গৃহকর্মী আয়েশাকে একমাত্র আসামি করে মোহাম্মদপুর থানায় হত্যা মামলা করেন।
বিপি/ এএস
