পিছিয়ে পড়েও স্বস্তির জয় বার্সার
গত রোববার জিরোনার সঙ্গে রিয়াল মাদ্রিদের ড্র–এর সুযোগ কাজে লাগিয়ে এক পয়েন্টে শীর্ষে উঠে এসেছিল বার্সেলোনা। তবে সামনে অপেক্ষা করছিল আরও বড় পরীক্ষা—শক্তিশালী আতলেতিকো মাদ্রিদের মুখোমুখি হওয়া। শেষ পর্যন্ত সেই চ্যালেঞ্জ সফলভাবেই উতরে গেল কাতালানরা। ক্যাম্প ন্যুতে পিছিয়ে থেকেও ৩–১ গোলের জয়ে মূল্যবান তিন পয়েন্ট তুলেছে হান্সি ফ্লিকের দল।
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে খেলতে থাকা বার্সা উল্টো ১৯ মিনিটে অ্যালেক্স বায়েনার দুর্দান্ত গোল হজম করে। তবে ব্যবধান রক্ষায় আতলেতিকোকে বেশি সময় দিতে রাজি ছিল না স্বাগতিকরা। মাত্র সাত মিনিট পর পেদ্রির নিখুঁত পাস থেকে রাফিনিয়ার গোলেই সমতায় ফিরে বার্সেলোনা।
৩৬ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ তৈরি হয়েছিল, কিন্তু পেনাল্টি থেকে ব্যর্থ হন রবার্ট লেভানডফস্কি। বিরতির পর ৬৪ মিনিট পর্যন্ত আতলেতিকো ভালোভাবেই ম্যাচ ধরে রাখে। কিন্তু ৬৫ মিনিটে লেভার পাস ধরে দানি ওলমো গোল করে দলকে এগিয়ে দেন। ইনজুরি সময়ের সপ্তম মিনিটে ফেরান তোরেসের গোল আতলেতিকোর বড় হার নিশ্চিত করে দেয়।
লা লিগার চলতি মৌসুমে পিছিয়ে থেকেও জয় পাওয়ার নজির এখন পর্যন্ত ১৬ বার। এর মধ্যে এককভাবে সবচেয়ে বেশি—৫ বার—ফিরে এসে জিতেছে বার্সেলোনা। দু’বারের বেশি এমন কামব্যাক আর কোনো দলের নেই।
লীগের প্রথম ম্যাচে হারলেও এরপর টানা ১৩ ম্যাচ অপরাজিত ছিল আতলেতিকো। কিন্তু বার্সার সামনে শেষ পর্যন্ত টিকতে পারেনি দিয়াগো সিমিওনের দল।
১৫ ম্যাচ শেষে ৩৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই রয়েছে বার্সেলোনা। এক ম্যাচ কম খেলেও ৩৩ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রিয়াল মাদ্রিদ। আজ রাতে অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের বিপক্ষে জিতলেও বার্সাকে টপকাতে পারবে না জাবি আলোনসোর দল। ১৪ ম্যাচে ৩২ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় ভিয়ারিয়াল এবং ৩১ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে আতলেতিকো।
ম্যাচ শেষে বার্সা কোচ ফ্লিক বলেন, ‘এটা শিরোপা লড়াইয়ের টার্নিং পয়েন্ট কিনা, তা হয়তো পরে বোঝা যাবে। তবে এটা আমাদের অন্যতম সেরা ম্যাচ। পুরো ৯০ মিনিটেই দল দুর্দান্ত খেলেছে। আমরা ধীরে ধীরে আমাদের সেরা অবস্থায় ফিরছি।’
রাফিনিয়ার মন্তব্যও তেমনই আত্মবিশ্বাসী— ‘এ ধরনের ম্যাচ ঘুরিয়ে দিতে হলে মানসিকভাবে সব সময় প্রস্তুত থাকতে হবে। ম্যাচের পর ম্যাচে আত্মবিশ্বাস বাড়ছে। মৌসুমের শেষে এই তিন পয়েন্টই হয়তো শিরোপা নির্ধারণ করে দিতে পারে।’
বিপি/ এএস
