সেই আগুনে ঘি ঢেলে দিলেন রত্না
সাবেক নারী ক্রিকেট দলের তারকা ক্রিকেটার জাহানারা আলমের সম্প্রতি তোলা যৌন নিপীড়নের অভিযোগে তোলপাড় দেশের ক্রীড়াঙ্গণ। সেই অভিযোগের আগুনে এবার রীতিমতো ঘি ঢেলে দিলেন সাবেক শুটার ও কোচ শারমিন আক্তার রত্না।
সাবেক শ্যুটার ও বর্তমানে শ্যুটিং ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক জি এম হায়দারের বিরুদ্ধে নিপীরনের অভিযোগ এনে সেটি তদন্তের জোড়ালো দাবি জানিয়েছেন রত্না।
সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘জাহানারার অভিযোগের পর এখন বিসিবি এবং উপদেষ্টা তদন্তের কথা বলেছেন। আমাদের শ্যুটিংয়ের বিষয়টিও তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। শুটিং ফেডারেশনের নতুন কমিটি হওয়ার আগেই আমরা কয়েকজন শুটার জিএম হায়দার সাজ্জাদকে নিয়ে চিঠি দিয়েছিলাম। তার ওপর নারী সংক্রান্ত অনেক অভিযোগই ছিল। এজন্য তাকে শুটিং ফেডারেশনের কমিটিতে না রাখার দাবি জানানো হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে দেখা গেল তিনি কমিটির যুগ্ম সম্পাদক হয়েছেন।’
ফেডারেশনের নতুন কমিটি গঠনের আগেই হায়দারের বিরুদ্ধে গুরুতর যৌন নিপীরনের অভিযোগ এনে ক্রীড়া উপদেষ্টা বরাবর চিঠি দিয়তে জানিয়েছিলেন শ্যুটাররা। কিন্তু মন্ত্রণালয় কিংবা জাতীয় ক্রীড়া সংস্থা (এনএসসি) বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করেছিলেন কি না সে বিষয়ে কোনো সদুত্তর মেলেনি।
ক্রীড়া ফেডারেশনগুলোকে ঢেলে সাজানোর জন্য সরকারের প্রস্তুতকৃত সার্চ কমিটির দেয়া সুপারিশকৃত কমিটিতে ছিলেন না হায়দার, কেননা নারী সংক্রান্ত ছাড়াও তিনি মামলার আসামী হয়ে জেলে ছিলেন এবং আরও অনেক অভিযোগ ছিল আগে থেকেই তার নামে। সে কারণে সুপারিশকৃত কমিটিতে ছিল না জি এম হায়দারের নাম।
কিন্তু কোন এক অজানা শক্তির বলে তালিকায় না থেকেও শেষ পর্যন্ত যুগ্ম সম্পাদকের পদে বসেন হায়দার। কীভাবে পেলেন দায়িত্ব সেটা নেই কারোরই জানা।
ক্রিকেট, ফুটবল বাদে দেশের সকল ফেডারেশনই সাধারণ সম্পাদক নির্ভর। ফেডারেশনের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আলেয়া ফেরদৌসের বয়স প্রায় আশি। যে কারণে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিএম হায়দার সাজ্জাদের হাতেই ফেডারেশনের মূল চালিকাশক্তি। সাজ্জাদ যুগ্ম সম্পাদক হওয়ার পরপরই সাবেক শ্যুটার রত্না কোচের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছিলেন।
