চার লাখ মাসখরচেও সন্তুষ্ট নন শামির স্ত্রী, যা বলল আদালত

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট ডেস্ক
প্রকাশিত:০৭ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:৪৫ পিএম
চার লাখ মাসখরচেও সন্তুষ্ট নন শামির স্ত্রী, যা বলল আদালত
স্ত্রী সন্তানের সঙ্গে ভারতীয় পেসার মোহাম্মদ শামি।ছবি: বাংলা পোস্ট

ভারতের তারকা পেসার মোহাম্মদ শামির সঙ্গে স্ত্রী হাসিন জাহানের দাম্পত্য কলহের কথা কারও অজানা নয়। দীর্ঘদিন ধরেই আলাদা থাকেন দুজনে। তবে আদালতের নির্দেশে মাসখরচ বাবদ হাসিনকে এখন ৪ লাখ টাকা দিতে হয় শামিকে।

তবে তাতেও সন্তুষ্ট নন মডেল হাসিন জাহান। কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে হাজির হয়েছিলেন শামির সাবেক স্ত্রী। শুক্রবার (৭ নভেম্বর) হাসিন জাহানের দায়ের করা আবেদনের ওপর নোটিশ জারি করেছে পশ্চিমবঙ্গের সর্বোচ্চ আদালত। যদিও বেঞ্চ মন্তব্য করেছে, এই অর্থ ‘বেশ যুক্তিসঙ্গত’ বলেই মনে হচ্ছে।

এর আগে গত ১ জুলাই কলকাতা হাইকোর্টের এক আদেশকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন হাসিন। কলকাতা হাইকোর্ট শামিকে স্ত্রীর খরচ বাবাদ মাসে দেড় লাখ টাকা এবং তাদের মেয়ের জন্য মাসে আড়াই লাখ টাকা খরচ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। কলকাতা আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ গত ২৫ অগস্ট এই আদেশ বহাল রাখে। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানান শামির সাবেক স্ত্রী।

এদিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারক হাসিনকে প্রশ্ন করে, ‘আপনি কেন এই মামলা দায়ের করেছেন? প্রতি মাসে ৪ লাখ টাকা কি যথেষ্ট নয়?’

এদিন বিচারপতি মনোজ মিশ্র এবং বিচারপতি উজ্জ্বল ভূঁইয়ার এজলাসে এ বিষয়ে শুনানি হয়।

এর আগে, নিম্ন আদালত শামিকে তার মেয়ের মাসিক ভরণপোষণের জন্য প্রতি মাসে ৮০ হাজার টাকা এবং হাসিনের খরচ বাবাদ ৫০ হাজার টাকা খোরপোষ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। পরে উচ্চ আদালতে সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানান হাসিন। তার পক্ষে শুনানি করেন প্রবীণ আইনজীবী শোভা গুপ্তা এবং আইনজীবী শ্রীরাম পরকাট।

তারা বলেন, শামির আয় আদালতের নির্ধারিত ভরণপোষণের পরিমাণের চেয়ে অনেক বেশি।

তাদের ভাষায়, ‘বিবাদী (শামি) একটা বিলাসবহুল জীবনযাপন করছেন এবং আবেদনকারী এবং নাবালিকা মেয়েকে ন্যায়সঙ্গত পরিমাণ ভরণপোষণ ইচ্ছাকৃত দিচ্ছেন না’।

শামির হাইকোর্টে দায়ের করা হলফনামায় স্পষ্ট বলা হয়েছে তার মাসিক খরচ ১.০৮ কোটি টাকার বেশি। ভারতীয় এই ক্রিকেটারের সম্পত্তির পরিমাণ ৫০০ কোটির বেশি। পিটিশনে দাবি করা হয়েছে, স্ত্রী (হাসিন) শামিকে বিয়ের পর থেকে বেকার এবং তার এবং মেয়ে আইরার প্রতিদিনের চাহিদা মেটানোর জন্য কোনো স্বাধীন আয়ের উৎস নেই।

এ নিয়ে শামিকে নোটিশ জারি করে চার সপ্তাহ পর বিষয়টি পোস্ট করে বেঞ্চ মন্তব্য করে, ‘আপনি যদি মধ্যস্থতা করতে চান এবং নিষ্পত্তি করতে চান তাহলে আমরা নোটিশ জারি করতে পারি’।

এদিকে স্ত্রী হাসিন সেপ্টেম্বরে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন। সেখানে করা আবেদনে বলা হয়, শামি ইচ্ছাকৃতভাবে তার সাবেক স্ত্রী এবং নাবালিকা মেয়েকে দারিদ্র্যের মধ্যে ফেলে রেখে বিলাসবহুল জীবনযাপন করছেন।

মোহাম্মদ শামি এরইমধ্যে ২০১৮ সালে পশ্চিমবঙ্গের যাদবপুরে হাসিন জাহানের দায়ের করা একটি ফৌজদারি মামলায় বিচারের মুখোমুখি।

মামলায় ক্রিকেটার শামি ও তার পরিবারের গার্হ্যস্থ হিংসার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন হাসিন।