ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে বিএনপির ১৭ বছরের ভূমিকা: শাহরিয়াজ মাহমুদ


বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ইতিহাসে গত ১৭ বছর ছিল ভয়াবহ প্রতিকূলতার। এই সময়ে বারবার সাধারণ মানুষের ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে। অথচ গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বারবার সোচ্চার হয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। গৃহবন্দি অবস্থা, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও শারীরিক অসুস্থতা সত্ত্বেও তিনি জনগণের অধিকার আদায়ের প্রশ্নে আপসহীন থেকেছেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলের সাংগঠনিক পুনর্গঠন ও নীতি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। তার ঘোষিত ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব শুধু রাজনৈতিক দলীয় ইশতেহার নয়; বরং ভবিষ্যৎ বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক, জবাবদিহিমূলক, দুর্নীতিমুক্ত ও সুশাসনভিত্তিক রাষ্ট্রে রূপান্তরের একটি সুস্পষ্ট রূপরেখা। অর্থনীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, মানবাধিকার ও প্রশাসনিক সংস্কারে তিনি যে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন, তা তরুণ প্রজন্মকে নতুন আশার আলো দেখাচ্ছে।
কিন্তু এই আন্দোলন-সংগ্রাম এত সহজ ছিল না। বিগত বছরগুলোতে বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর নেমে এসেছিলো দমন–পীড়নের ঝড়। হাজারো নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা, নির্বিচারে গ্রেপ্তার, মিছিল-সমাবেশে গুলিবর্ষণ, হামলা এবং শত শত শহীদের রক্ত—সবই প্রমাণ করে যে ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম ছিল কঠিন ও ঝুঁকিপূর্ণ। তবুও বিএনপি কর্মীরা রাজপথে থেকেছেন এবং জনগণের পাশে থেকেছেন।
এই ধারাবাহিকতায় ছাত্রদল সবসময় আন্দোলনের সম্মুখভাগে থেকেছে। বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও রাস্তায় তারা নির্যাতন-গ্রেপ্তার-আত্মত্যাগ সত্ত্বেও তরুণ প্রজন্মের মধ্যে গণতন্ত্রের চেতনা ছড়িয়ে দিয়েছে।
আজকের তরুণ সমাজ পরিবর্তন চায়। তারা চায় একটি সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। বেগম খালেদা জিয়ার ত্যাগ, তারেক রহমানের ভবিষ্যৎমুখী রূপরেখা এবং বিএনপি ও ছাত্রদলের সংগ্রাম—সব মিলিয়ে বিএনপি তরুণ প্রজন্মের কাছে হয়ে উঠছে একটি গ্রহণযোগ্য ও আশার প্রতীক। আগামী দিনের বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে বিএনপি-ই হতে পারে প্রধান ভরসা।
লেখক: যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল