চাকরিতে বয়স নিয়ে বড় ঘোষণা; সংশোধিত গ্যাজেট প্রকাশ

সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও পাবলিক করপোরেশনসহ স্ব-শাসিত সংস্থাগুলোতে সরাসরি জনবল নিয়োগের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা নির্ধারণ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর আনুষ্ঠানিক গেজেট প্রকাশিত হয়েছে। আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ এই অধ্যাদেশটি জারি করেছে।

সদ্য প্রকাশিত এই অধ্যাদেশের মাধ্যমে ২০২৪ সালের মূল অধ্যাদেশে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিমার্জন আনা হয়েছে। উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনগুলো হলো-

• শব্দ পরিমার্জন: পূর্বের অধ্যাদেশের শিরোনাম, প্রস্তাবনা এবং বিভিন্ন ধারা থেকে ‘আধা-স্বায়ত্তশাসিত’ শব্দটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। এখন থেকে এটি সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ কর্তৃপক্ষ এবং পাবলিক নন-ফাইন্যানশিয়াল করপোরেশনসহ স্ব-শাসিত সংস্থাগুলোর জন্য প্রযোজ্য হবে।
• বয়সসীমা বহাল: অধ্যাদেশে একটি নতুন ধারা (৩ক) সংযোজন করা হয়েছে। এতে স্পষ্ট করা হয়েছে যে, কোনো প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব নিয়োগ বিধিমালা বা প্রবিধানমালায় যদি কোনো বিশেষ পদের জন্য সরাসরি নিয়োগের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩২ বছরের বেশি নির্ধারিত থাকে, তবে সেই নির্ধারিত বয়সসীমা আগের মতোই অপরিবর্তিত ও বহাল থাকবে।

‘সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ, পাবলিক নন-ফাইন্যানসিয়াল করপোরেশনসহ স্ব-শাসিত সংস্থাসমূহে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা নির্ধারণ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ নামে অভিহিত এই নতুন আইনটি অবিলম্বে কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের প্রেক্ষিতে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর দাবি উঠলে সরকার গত বছর সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩২ বছর নির্ধারণ করে অধ্যাদেশ জারি করেছিল। এবারের সংশোধনীতে মূলত কারিগরি ও বিশেষায়িত পদের জন্য যেখানে বয়স আগে থেকেই ৩২-এর বেশি ছিল, সেই পদগুলোকে সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে এবং আইনি শব্দের প্রয়োগ আরও সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে।