1. হোম
  2. আন্তর্জাতিক

গ্রিস উপকূলে উদ্ধার অভিবাসীদের ৪৩৭ জনই বাংলাদেশি

Bangla Post Desk
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৩০ এএম
গ্রিস উপকূলে উদ্ধার অভিবাসীদের ৪৩৭ জনই বাংলাদেশি

ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টাকালে গ্রিসের গাভদোস উপকূলে একটি বড় ধরনের উদ্ধার অভিযান চালিয়েছে স্থানীয় কোস্টগার্ড (লিমেনার্কিও)। উদ্ধার হওয়া ৫৩৯ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীর মধ্যে ৪৩৭ জনই বাংলাদেশের নাগরিক বলে নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ।

গত শুক্রবার ভোরে সমুদ্রের ঝুঁকিপূর্ণ পথ পাড়ি দেওয়ার সময় মাছ ধরার নৌকাটি শনাক্ত করা হয়। উদ্ধারকৃতদের বর্তমানে রেথিম্নোর কিত্রেনোসি ভবনে রাখা হয়েছে। সেখানে হেলেনিক কোস্টগার্ডের কড়া পাহারায় তাদের নাম নিবন্ধন ও জাতীয়তা যাচাইয়ের কাজ চলছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৪ জন নারী ও ২ জন শিশু থাকলেও বাকিরা সবাই পুরুষ।

উদ্ধারকৃতদের মধ্যে বাংলাদেশিদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এর ভেতর রয়েছেন বাংলাদেশের ৪৩৭ জন, পাকিস্তানের ৪৬ জন, মিসরের ৩৪ জন, ইরিত্রিয়ার ১২ জন (নারী ও শিশুসহ), সোমালিয়ার ৫ জন। এ ছাড়া সুদান, ইয়েমেন ও ফিলিস্তিনের নাগরিকও রয়েছেন এই দলে।

রেথিম্নোর কোস্টগার্ড প্রধান কিরিয়াকোস পাত্তাকোস জানিয়েছেন, প্রাথমিক নিবন্ধন প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। এখন তাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে এই বিশাল মানবপাচার চক্রের মূল হোতাদের খুঁজে বের করা। ধারণা করা হচ্ছে, অভিবাসীরা লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় উপকূল থেকে অন্তত ৩৬ ঘণ্টার একটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ সমুদ্রযাত্রা পাড়ি দিয়ে গ্রিসে পৌঁছেছেন।

রেথিম্নোর উপমেয়র ইয়োরগোস স্কোরদিলিস জানিয়েছেন, এত বিপুল সংখ্যক মানুষের থাকার মতো পর্যাপ্ত অবকাঠামো স্থানীয় প্রশাসনের নেই। কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে সমন্বয় করে আজ সোমবার ৩০০ জনকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বাকিদের আগামী সপ্তাহের মধ্যে অন্য কোনো আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানো হবে।

এই বিষয়ে গ্রিসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নাহিদা রহমান সুমনা জানান, গ্রিস কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো তথ্য দূতাবাসকে জানানো হয়নি। তথ্য পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় আইনি ও কনস্যুলার সহায়তা নিশ্চিত করা হবে।