ক্যারিবীয় সাগরে মার্কিন হামলায় নিহত ৪

Bangla Post Desk
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত:০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৩৪ এএম
ক্যারিবীয় সাগরে মার্কিন হামলায় নিহত ৪
ক্যারিবীয় সাগরে নৌযানে আবারও মার্কিন হামলা। ছবি- সংগৃহীত

ক্যারিবীয় সাগরে আবারও প্রাণঘাতী অভিযান চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী। সন্দেহভাজন মাদকবাহী একটি নৌযানে চালানো হামলায় চারজন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন।

বৃহস্পতিবারের এই হামলাটি এমন সময় ঘটল যখন গত ২ সেপ্টেম্বরের এক অভিযানে একই নৌকায় টানা দুই দফা হামলা চালানোর তথ্য প্রকাশ্যে আসার পর ট্রাম্প প্রশাসনের ওপর নতুন করে নজরদারি শুরু হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর সাউদার্ন কমান্ড সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘এক্স’-এ জানায়, সাম্প্রতিক হামলার নির্দেশ দিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ। তাদের দাবি, আন্তর্জাতিক পানিসীমায় একটি সন্ত্রাসী সংগঠনের নিয়ন্ত্রিত নৌযানে ‘প্রাণঘাতী হামলা’ চালানো হয়েছে।

গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, নৌকাটিতে মাদক ছিল এবং এটি পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরের পরিচিত মাদকপাচার রুট ধরে চলছিল। হামলায় চারজন পুরুষ নার্কো-টেরোরিস্ট নিহত হয়েছেন।

গত কয়েক মাস ধরে ট্রাম্প প্রশাসন এই ধরনের অভিযান চালিয়ে ৮০-এর বেশি সন্দেহভাজন মাদককারবারিকে হত্যা করেছে। তবে ২ সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় হামলার বিষয়টি প্রকাশ হওয়ার পর কংগ্রেসের রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট উভয় দলের মধ্যে নতুন আলোচনা এবং তদন্ত শুরু হয়েছে।

হোয়াইট হাউস বলেছে, দ্বিতীয় হামলার নির্দেশ হেগসেথ দেননি। প্রথম হামলায় বেঁচে যাওয়া দুজনকে লক্ষ্য করে যে দ্বিতীয় হামলা চালানো হয়েছে, তা নৌবাহিনীর অ্যাডমিরাল ফ্র্যাঙ্ক ‘মিচ’ ব্র্যাডলির নির্দেশে করা হয়েছিল

হোয়াইট হাউস দাবি করেছে, ওই হামলা যুদ্ধ আইন অনুযায়ী ছিল। তবে আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিরস্ত্র ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে হামলা করা যুদ্ধাপরাধের পর্যায়ে পড়তে পারে।

বৃহস্পতিবার ব্র্যাডলি কংগ্রেসে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে অংশ নিয়ে দাবি করেন, নৌকার সবাইকে হত্যা করার নির্দেশ তিনি কখনো পাননি।

অপরদিকে, হাউস আর্মড সার্ভিসেস কমিটির ডেমোক্র্যাটিক নেতা অ্যাডাম স্মিথ বলেন, নির্দেশ ছিলমাদক ধ্বংস করা এবং নৌকার ১১ জনকে হত্যা করা।, তার দাবি, ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, প্রথম হামলায় বেঁচে যাওয়া দুজন উলঙ্গ অবস্থায় নৌকার সামনের অংশ আঁকড়ে ধরে ছিলেন এবং ঠিক সেই অবস্থায় দ্বিতীয় দফায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে তাদের হত্যা করা হয়।

মানবাধিকার সংস্থাগুলো ইতিমধ্যেই এই হামলাকে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড হিসেবে দেখছে। তবে ট্রাম্প প্রশাসন এসব অভিযানকে ‘নার্কো-টেরোরিস্টদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের অংশ’ হিসেবে উপস্থাপন করছে।

উল্লেখযোগ্য, কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়া কোনো যুদ্ধ ঘোষণা বা সামরিক অভিযান চালানো হয়নি।

বিপি/ এএস