মারপিটের ঘটনায় থানায় অভিযোগ, তাসকিনের অস্বীকার


জাতীয় দলের পেসার তাসকিন আহমেদের বিরুদ্ধে মারধর ও হুমকির অভিযোগে মিরপুর মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। অভিযোগ অনুযায়ী, ঘটনাটি ঘটেছে ২৭ জুলাই রাত সাড়ে ৯টার দিকে মিরপুর ১ নম্বরে। ঘটনার পরপরই বাদী সিফাতুর রহমান সৌরভ মিরপুর মডেল থানায় একটি ডিডি করার পর পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। তাসকিন গণমাধ্যমকে বলেছেন, তার সঙ্গে শত্রুতা করে থানায় জিডি করা হয়েছে।
তাসকিন বলেছেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে পুরোটাই মিথ্যা। আমি বাসা পরিবর্তন নিয়ে ব্যস্ত। আমি ওদের মারিনি। ওরা আমার নামে মিথ্যা জিডি করে আমাকে বিব্রত করার চেষ্টা করছে।’
তাসকিন পাল্টা অভিযোগ করে বলেছেন, ‘আমার বন্ধু রসি নামে একজন আছেন, ওরা আমার এই বন্ধুকে মেরেছে। তাই আমি মোহাম্মদপুর থানার ওসি সাহেবকে ফোন করেছিলাম। পুলিশ গিয়ে ওদেরকে মোহাম্মদপুরে খুঁজেছে। এজন্য এরা উল্টো আমার নামে জিডি করেছে।’
ঘটনার প্রেক্ষাপট নিয়ে তাসকিন আরও বলেছেন, ‘‘ওর (সৌরভ) খালা আমার বাবাকে ফোন দিয়ে বিচার দিয়েছিল। আমার বাবা আবার ওই ঘটনার কিছুই জানতো না। আমার বাবা এভাবেই বলেছে, ‘ছোট বেলার বন্ধু, এক সাথে মিলে মিশে থাকবে।’ আসলে গত কয় মাস ধরে ওদের সাথে এখন মিশি না, তাই এখন ওর মাথা খারাপ হয়ে গেছে।’’
অভিযোগে বলা হয়, তাসকিন ফোন করে সৌরভকে মিরপুর ১ নম্বরে ডেকে নেন এবং সেখানে তাকে কিল-ঘুষি মেরে শারীরিকভাবে আঘাত করেন। এছাড়া তাকে ভয়ভীতি ও হুমকিও দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগকারীর দাবি। থানা সূত্র জানায়, তাসকিন ও সৌরভের মধ্যে আগে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল।
এ ব্যাপারে মিরপুর মডেল থানার অফিসার ইন চার্জ সাজ্জাদ হোসেন জানান, ‘সনি সিনেমা হলের সামনে রবিবার রাতে মারধর করেছেন বলে একটি অভিযোগ আমরা পেয়েছি। অভিযোগের সত্যতা আমরা তদন্ত করে দেখছি।’
বিষয়টি নিয়ে বিসিবি পরিচালক এবং মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান ও আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার রহমান মিঠু বলেছেন, ‘মিডিয়াতে নিউজটা সকালে দেখলাম। আমাদের আমিনুল ইসলাম বুলবুল এবং ফাহিম ভাইও দেখেছে। এটা নিয়ে অলরেডি তদন্ত শুরু হয়ে গেছে। এটা যদি ঘটে থাকে তাহলে সেটা খুব দুঃখজনক। আইকন প্লেয়ারের এসবে জড়ানো উচিত না। আমি এই ব্যাপারে আর মন্তব্য করতে চাচ্ছি না । কী হয়েছে সেটা আগে বের হোক।’