টাইব্রেকারে প্রতিশোধ, ইউরো চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড


দুই বছর আগে নারী বিশ্বকাপের ফাইনালে স্পেনের বিপক্ষে হেরে শিরোপা হাতছাড়া করেছিল ইংল্যান্ড। সেই হারের যন্ত্রণা ঘুচল অবশেষে। ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ফের স্পেনের মুখোমুখি হয়ে টাইব্রেকারে ৩-১ গোলের জয় তুলে টানা দ্বিতীয় শিরোপা ঘরে তুলল ইংলিশ মেয়েরা।
রোববার সুইজারল্যান্ডের বাসেলে অনুষ্ঠিত ফাইনালে ১২০ মিনিট লড়াই শেষে স্কোর ছিল ১-১। ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে, যেখানে স্পেনের নেওয়া চারটি শটের তিনটিই ফিরিয়ে দেন ইংল্যান্ডের গোলরক্ষক। অন্যদিকে ইংল্যান্ড প্রথম চারটি শটের মধ্যে দুটিতে গোল করার পর পঞ্চম শটে ক্লোয়ি কেলি নিশ্চিত করেন শিরোপা।
ইউরো ইতিহাসে ১৯৮৪ সালের প্রথম আসরের পর এই প্রথমবার কোনো ফাইনালের নিষ্পত্তি হলো টাইব্রেকারে। আর প্রথমবার ইউরো ফাইনালে উঠে হতাশায় শেষ করল ২০২৩ সালের বিশ্বজয়ী স্পেন।
ফাইনালের প্রথমার্ধে স্পেন ছিল দাপুটে। বল দখলে ও আক্রমণে এগিয়ে থেকে ২৫ মিনিটে লিড নেয় তারা। ওনা ব্যাটলের ক্রসে হেডে লক্ষ্যভেদ করেন মারিওনা কালদেন্তে। বিরতির আগে ৬৫ শতাংশ বল নিজেদের দখলে রেখে ২২টি শট নেয় স্পেন, যার ৫টি ছিল লক্ষ্যে। তবে দ্বিতীয়ার্ধে বদলে যায় চিত্র। ম্যাচের ৫৭ মিনিটে সমতা ফেরায় ইংল্যান্ড। বদলি হিসেবে নামা ক্লোয়ি কেলির বাড়ানো ক্রসে হেডে গোল করেন অ্যালেসিয়া রুসো।
অতিরিক্ত সময়েও কোনো দল গোলের দেখা না পাওয়ায় গড়ায় টাইব্রেকারে, যেখানে শেষ হাসি হাসে ইংল্যান্ডই। এই জয়ে ইউরো নারী ফুটবলে তৃতীয় দল হিসেবে একাধিকবার চ্যাম্পিয়ন হলো ইংল্যান্ড। এর আগে নরওয়ে দুবার ও জার্মানি রেকর্ড আটবার শিরোপা জিতেছে।
টানা দুটি ইউরো জয়ে বড় ভূমিকা ইংলিশ কোচ সারিনা ভাইগমানের। নেদারল্যান্ডসের কোচ হিসেবে ২০১৭ সালে শিরোপা জয়ের পর, ইংল্যান্ডের দায়িত্ব নিয়ে ২০২২ ও ২০২৫ সালে ইউরো জেতান তিনি। ম্যাচ শেষে ভাইগমান বলেন, ‘আমরা বলেছিলাম, যেকোনো উপায়ে জিততে পারি। আজও তা করে দেখালাম। পুরো দল ও স্টাফদের নিয়ে আমি দারুণ গর্বিত।’