এশিয়ান কাপে রেকর্ড চ্যাম্পিয়ন চীনের গ্রুপে বাংলাদেশ

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:২৯ জুলাই ২০২৫, ০৪:২২ পিএম
এশিয়ান কাপে রেকর্ড চ্যাম্পিয়ন চীনের গ্রুপে বাংলাদেশ

উইমেন’স এশিয়ান কাপে গ্রুপ পর্বের পথচলায় কঠিন পথ পেল বাংলাদেশ। রেকর্ড ৯ বারের চ্যাম্পিয়ন চীনের সঙ্গে ‘বি’ গ্রুপে আছে পিটার জেমস বাটলারের দল। গ্রুপের অন্য দুই দল উত্তর কোরিয়া ও উজবেকিস্তান।

সিডনি টাউন হলে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত ড্রয়ে ‘বি’ গ্রুপে ফিফা র‌্যাঙ্কিং অনুযায়ী বাংলাদেশের সবচেয়ে কাছের প্রতিপক্ষ উজবেকিস্তান, ৫১তম। উত্তর কোরিয়া ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে নবম এবং এই প্রতিযোগিতার বর্তমান চ্যাম্পিয়ন চীন ১৭তম।

মূল পর্বের দলগুলোর অধিনায়ক ও কোচদেরকে ড্র অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল এএফসি। তবে বাংলাদেশের কেউ উপস্থিত ছিলেন না। জাপান, উত্তর কোরিয়া, ইরান ও ফিলিপাইনের কোনো কোচ-অধিনায়কও ছিলেন না। সিডনির হারবার ফ্রন্টে ট্রফির সঙ্গে ফটোসেশনে তাই দেখা যায়নি এই দলগুলোর প্রতিনিধি।

‘এ’ গ্রুপে আছে- স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, ফিলিপিন্স ও ইরান। ‘সি’ গ্রুপের চার দল-জাপান, ভিয়েতনাম, চাইনিজ তাইপে ও ভারত।

আগামী বছর মার্চে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে এশিয়ান কাপের মূল আসর। তিন গ্রুপের সেরা ও রানার্সআপ এবং তৃতীয় সেরা দুই দল পাবে নকআউটে খেলার সুযোগ। আসরের সেরা ছয়টি দল পাবে ২০২৭ উইমেন’স বিশ্বকাপে খেলার টিকেট। কোয়ার্টার-ফাইনালের আট দলই পাবে সরাসরি লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকসে অংশ নেওয়ার সুযোগ।

ড্রয়ে ১২ দলের মধ্যে ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে সবচেয়ে পিছিয়ে থাকা দল বাংলাদেশ, ১২৮তম। বাকি ১১ দলই র‌্যাঙ্কিংয়ে সেরা ১০০-এর ভেতরে। বাংলাদেশের সবচেয়ে কাছাকাছি দল ভারত, ৭০তম।

র‌্যাঙ্কিং অনুযায়ী প্লট-১-এ স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ছিল জাপান ও উত্তর কোরিয়া। এদের মধ্যে উত্তর কোরিয়া তিন বার, জাপান দুই বারের চ্যাম্পিয়ন। অস্ট্রেলিয়া এই শিরোপার স্বাদ পেয়েছে একবার।

প্লট-২ এর তিন দল রেকর্ড ৯ বারের চ্যাম্পিয়ন চীন। দক্ষিণ কোরিয়া একবারই ফাইনালে উঠেছিল, ২০২২ সালের সেই ফাইনালে চীনের কাছে হেরে রানার্সআপ হয় তারা। অন্য দল ভিয়েতনাম কখনও উঠতে পারেনি সেরা চারে।

প্লট-৩ এ তিন বারের চ্যাম্পিয়ন চাইনিজ তাইপে এবং একবার সেরা চারে ওঠা ফিলিপিন্স ও উজবেকিস্তান।

প্লট-৪ এ থাকা তিন দলের মধ্যে ইরান ২০২২ সালের আসরে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছিল। ভারত দুইবারের রানার্সআপ (১৯৮০ ও ১৯৮৩), তবে গত পাঁচ আসরে তারা পার হতে পারেনি গ্রুপ পর্বের বৈতরণী। বাংলাদেশ এই প্রথম অর্জন করেছে মূল পর্বে খেলার যোগ্যতা।