নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ ও চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের চেতনাকে ধারণ করে বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে ‘অপরাজেয় বাংলা’। একুশে পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তিত্ব আহমেদ ইকবাল হায়দারকে চেয়ারপারসন করে গঠিত এই দলে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর প্রতিনিধি ছাড়াও বিভিন্ন খাতের পেশাদার বিশেষজ্ঞদের সমন্বয় ঘটানো হয়েছে।
নবগঠিত এই রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মে বৈচিত্র্য ও অভিজ্ঞতার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। ১১ সদস্যের ভাইস চেয়ারম্যান পরিষদ ও ২৪ সদস্যের স্ট্যান্ডিং কমিটি ইতোমধ্যেই গঠিত হয়েছে। সেই সাথে রয়েছে ৭১ সদস্যের সেন্ট্রাল এক্সিকিউটিভ কমিটি।
এই কমিটিতে ট্রান্সজেন্ডার বা তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বন্দর ব্যবস্থাপনা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিশেষজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
দলটির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে ২০৩০-৩১ অর্থবছরের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি ‘স্মার্ট জিও নেশন’ হিসেবে গড়ে তোলার রোডম্যাপ পেশ করা হয়।
দলটির প্রধান লক্ষ্যগুলো হলো যোগাযোগ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবেশ ও প্রতিরক্ষা খাতে ৩১ বিলিয়ন ডলারের বিদেশি বিনিয়োগ নিশ্চিত করা, সুন্দরবনসহ জীববৈচিত্র্য রক্ষায় বিজ্ঞানভিত্তিক পরিকল্পনা এবং মহাকাশ বিজ্ঞান চর্চায় মহাকাশ কেন্দ্র স্থাপন ও ব্লু-ইকোনমি বা নীল অর্থনীতির বিকাশ এবং ভারসাম্যপূর্ণ প্রতিরক্ষা মতবাদ (ডিফেন্স ডক্ট্রিন) প্রণয়ন।
অনুষ্ঠানে দলটির ভাইস চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত গ্ৰুপ ক্যাপ্টেন ফরিদ উদ্দিন দলের ইশতেহারের মূল পয়েন্টগুলো তুলে ধরেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- দেশের অখণ্ডতা রক্ষা এবং বৈষম্যহীন সমাজ বিনির্মাণ, সবার জন্য খাদ্য, বস্ত্র, শিক্ষা ও চিকিৎসার নিশ্চয়তা প্রদান, সংখ্যাগরিষ্ঠের ইসলাম ধর্ম এবং অন্য সকল ধর্মের ধর্মীয় শিক্ষার সুযোগ ও মানবিক মূল্যবোধ সংরক্ষণ, প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান বজায় রেখে সমতার ভিত্তিতে বন্ধুত্ব এবং মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে সুদৃঢ় সম্পর্ক স্থাপন, নব্য উপনিবেশবাদ, সাম্রাজ্যবাদ ও দুর্নীতিমুক্ত উন্নত রাষ্ট্র গঠন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জনেন্দ্র নাথ সরকার, মো. মোসাদ্দেক, ফরিদুল ইসলাম ফরিদ, এ কে এস বি মজুমদার, মীর মুস্তাফিজুর রহমানসহ আরও অনেকে। বক্তারা বলেন, সঠিক বিদেশি বিনিয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশকে বিশ্বের ‘নেক্সট ১১’ অর্থনীতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যেই এই দলের জন্ম।