‘এখন বড় সংস্কার হলো আওয়ামী সন্ত্রাস নির্মূল ও দেশকে রক্ষা করা’
আসন্ন ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিত ও বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত নাশকতার পেছনে আওয়ামী সন্ত্রাসী ও দুর্বৃত্তরা দায়ী বলে দাবি করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।
তিনি বলেন, এখন সবচেয়ে বড় সংস্কার হলো আওয়ামী সন্ত্রাসীদের নির্মূল ও দেশকে আসন্ন ১/১১-এর হাত থেকে রক্ষা করা। এজন্য গণঅভ্যুত্থান তথা ভারতীয় আধিপত্যবাদবিরোধী শক্তির মধ্যে ঐক্যের বিকল্প নাই।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এসব কথা বলেন রাশেদ খান।
চলমান আগুন দিয়ে বাস পোড়ানো ও মানুষ হত্যায় আওয়ামী দুর্বৃত্তরা জড়িত এবং তাদেরকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান গণঅধিকার পরিষদ নেতা।
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, মধ্যরাতে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় বাসে আগুন দিয়ে ঘুমন্ত চালককে পুড়িয়ে হত্যা করেছে আওয়ামী দুর্বৃত্তরা। এরপরও যদি আওয়ামী সন্ত্রাসীদের ধরার জন্য বিশেষ অভিযান পরিচালনা না করেন, তাহলে নির্বাচন আর করতে পারবেন না।
গণঅভ্যুত্থানের পক্ষের শক্তিগুলোর উদ্দেশে রাশেদ খান বলেন, নির্বাচন যতো ঘনিয়ে আসবে, ওদের সন্ত্রাসী কার্যক্রমও বাড়বে। নির্বাচন বানচাল করে আরেকটি ১/১১ সৃষ্টি করাই হলো আওয়ামী লীগের মূল টার্গেট। এই টার্গেট বাস্তবায়নে গণঅভ্যুত্থানের শক্তিগুলোর মধ্যে চলমান বিভাজনকে কাজে লাগাচ্ছে পতিত স্বৈরাচার। এখন কি পতিত স্বৈরাচারের নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পা দেবেন? নাকি নিজেদের মধ্যে ঐক্য অটুট রেখে ঐক্যমতের ভিত্তিতে জুলাই সনদের আইনগত ভিত্তি ও জাতীয় নির্বাচনের দিকে পা বাড়াবেন, সেই সিদ্ধান্ত আপনাদের নিতে হবে।
পোস্টের শেষ দিকে সাবেক এই ছাত্রনেতা বলেন, এখন সবচেয়ে বড় সংস্কার হলো আওয়ামী সন্ত্রাসীদের নির্মূল ও দেশকে আসন্ন ১/১১-এর হাত থেকে রক্ষা করা। আর এজন্য গণঅভ্যুত্থান তথা ভারতীয় আধিপত্যবাদবিরোধী শক্তির মধ্যে ঐক্যের বিকল্প নাই।
