কিবরিয়া হত্যাকাণ্ড: বেরিয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য
রাজধানীর পল্লবীতে যুবদল নেতা গোলাম কিবরিয়ার হত্যাকাণ্ডের ২৪ ঘণ্টা পেরোতে না পেরোতেই বেরিয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য। নিহতের ঘনিষ্ঠজন্দের জিজ্ঞাসাবাদ ও সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে পুলিশ হত্যার মোটিভ সম্পর্কে কিছুটা ধারণা পেয়েছে। আর সেখানেই মিলেছে চাঞ্চল্যকর কিছু তথ্য।
প্রাথমিক ধারণা অনুযায়ী দলীয় কোন্দলের কারণেই ঘটেছে এই হত্যাকাণ্ড। প্রাথমিক তদন্ত সেটিরই ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে ধারণা পুলিশের। তবে এখনও এই ঘটনায় কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে হত্যার লোহমর্ষক বিবরণ। ইতোমধ্যেই নিহতের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। প্রাথমিক রিপোর্টে কিবরিয়ার দেহে ১৮টি গুলির ক্ষত পাওয়া গেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে পল্লবী থানাধীন সেকশন-১২-এর ব্লক-সি, ৫ নম্বর রোডে বিক্রমপুর হার্ডওয়্যার অ্যান্ড স্যানিটারি দোকানে বসেছিলেন গোলাম কিবরিয়া। এ সময় মোটরসাইকেলে করে আসা তিন দুর্বৃত্ত সরাসরি দোকানে ঢুকে পড়ে। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই কিবরিয়াকে লক্ষ্য করে খুব কাছ থেকে মাথা, বুক এবং পিঠে পিস্তল ঠেকিয়ে উপর্যুপরি সাত রাউন্ড গুলি ছোড়ে দুর্বৃত্তরা।
কিবরিয়া লুটিয়ে পড়লে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে দুর্বৃত্তরা। একজন এলাকাবাসীর হাতে আটক হলেও বাকি দুজন অটোরিকশাযোগে পালিয়ে যান।
অটোরিকশাযোগে পালিয়ে যাওয়ার সময় দ্রুত রিকশা না চালানোয় রিকশা চালককেও গুলি করে দুর্বৃত্তরা। রিকশাচালক আরিফকে (২০) কোমড়ে গুলি করে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে সেখান থেকে পালিয়ে যায় তারা।
আটক দুর্বৃত্তকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে এবং ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত সাত রাউন্ড গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে।
পল্লবী থানা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘এই ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। ঘটনাটি দলীয় কোন্দল নাকি এতে অন্য কোনো বিষয় রয়েছে; তা তদন্তের পর বেরিয়ে আসবে। ময়নাতদন্তের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পেলেই পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।’
