জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি
আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে দেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়ে গেজেট জারি করেছে সরকার।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন মন্ত্রণালয় থেকে গেজেট জারি করা হয়েছে।
সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী ২৮ ডিসেম্বর বঙ্গভবনে নতুন প্রধান বিচারপতির শপথগ্রহণ করবেন।
সংবিধান অনুযায়ী ৬৭ বছর পূর্ণ হওয়ায় আগামী ২৭ ডিসেম্বর অবসরে যাচ্ছেন দেশের ২৫তম প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। আর তার জায়গায় গত মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) দেশের ২৬তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীর নিয়োগ চূড়ান্ত করেন রাষ্ট্রপতি।
বাংলাদেশের বিচার বিভাগের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র জুবায়ের রহমান চৌধুরী। আইন পেশা থেকে শুরু করে উচ্চ আদালতের বিচারক হিসেবে তাঁর দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও পারিবারিক ঐতিহ্য তাঁকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে।
বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ১৯৬১ সালের ১৮ মে জন্মগ্রহণ করেন। জুবায়ের রহমানের বাবা এএফএম আবদুর রহমান চৌধুরীও ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের একজন খ্যাতিমান বিচারক। বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি (অনার্স) ও এলএলএম ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীতে উচ্চশিক্ষার জন্য তিনি যুক্তরাজ্যে যান এবং সেখান থেকে আন্তর্জাতিক আইনের ওপর স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স) সম্পন্ন করেন।
আইন পেশার মাধ্যমে তাঁর কর্মজীবন শুরু হয় ১৯৮৫ সালে, যখন তিনি জজ কোর্টের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। এরপর ১৯৮৭ সালে তিনি সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে প্র্যাকটিস করার অনুমতি পান।
বিচারক হিসেবে তাঁর পথচলা শুরু হয় ২০০৩ সালের ২৭ আগস্ট, যখন তিনি হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন। দক্ষতার সাথে দুই বছর দায়িত্ব পালনের পর ২০০৫ সালে তিনি একই বিভাগে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হন।
বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীর দীর্ঘ বিচারিক জীবনের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০২৪ সালের ১২ আগস্ট রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন তাঁকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন। এর পরের দিন, অর্থাৎ ২০২৪ সালের ১৩ আগস্ট তিনি শপথ গ্রহণ করেন।
সুদীর্ঘ কর্মজীবনে অত্যন্ত সততা ও নিষ্ঠার সাথে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় তাঁর ভূমিকা বিচারঙ্গনে প্রশংসিত।