রামপুরায় ২৮ ছাত্র-জনতা হত্যা
বিজিবি কর্মকর্তাসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ আজ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজধানীর রামপুরায় ২৮ জন ছাত্র-জনতাকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় দায়েরকৃত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজ গুরুত্বপূর্ণ আদেশ দেবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। বিজিবি কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল রেদোয়ানুল ইসলামসহ চার আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) গঠনের বিষয়ে এই সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এই আদেশ প্রদান করবেন। প্যানেলের অন্য দুই সদস্য হলেন—বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
এর আগে গত ২১ ডিসেম্বর এই মামলার শুনানি সম্পন্ন হয়। প্রসিকিউশন পক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর জোর দাবি জানালেও, আসামি পক্ষের আইনজীবীরা তাদের মক্কেলদের মামলা থেকে অব্যাহতি (ডিসচার্জ) দেওয়ার আবেদন করেন।
এই মামলায় অভিযুক্ত চারজনের মধ্যে দুইজন বর্তমানে কারাগারে এবং দুইজন পলাতক রয়েছেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, লেফটেন্যান্ট কর্নেল রেদোয়ানুল ইসলাম (বিজিবি) এবং মেজর মো. রাফাত বিন আলম (বিজিবি)।
এই মামলার আসামীদের ভেতর পলাতক রয়েছেন ডিএমপির খিলগাঁও অঞ্চলের সাবেক এডিসি মো. রাশেদুল ইসলাম এবং রামপুরা থানার সাবেক ওসি মো. মশিউর রহমান।
এর আগে গত ২২ অক্টোবর সেনা হেফাজতে থাকা রেদোয়ান ও রাফাতকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হলে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে পলাতক আসামিদের হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত।
জুলাই-আগস্টের গণ-আন্দোলন চলাকালে রামপুরা এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে ২৮ জন নিহত এবং অসংখ্য মানুষ আহত হন। তদন্ত সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিজিবি কর্মকর্তা রেদোয়ানুল ইসলামকে সরাসরি আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি ছুড়তে দেখা গেছে। এই হত্যাকাণ্ডে অন্যান্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধেও প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নেতৃত্ব দেওয়ার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে।
প্রসিকিউশনের পক্ষে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম গত ৬ ডিসেম্বর ফরমাল চার্জের ওপর দীর্ঘ শুনানি শেষ করেন। আজ আদালতের আদেশের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে এই চার আসামির বিচারিক প্রক্রিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হচ্ছে কি না।