নির্বাচনের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে রিট
নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা পদে নির্বাহী বিভাগের কর্মকর্তাদের নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ কংগ্রেসের মহাসচিব অ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম এ রিট দায়ের করেন।
নির্বাহী বিভাগ থেকে নির্বাচন কমিশনের সচিব, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ অবৈধ ঘোষণা এবং নির্বাচন কমিশন সার্ভিস’ গঠনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের (ইলেক্টোরাল সার্ভিস কমিশন গঠনের) নির্দেশনা চেয়ে রিট পিটিশন দায়ের করা হয়েছে। রিটে রুল চাওয়া হয়েছে এবং রুলের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন স্থগিত চাওয়া হয়েছে।
আগামী সপ্তাহে বিচারপতি সিকদার মাহমুদুর রাজীর নেতৃত্বাধীন দ্বৈত বেঞ্চে রিটের শুনানি হওয়ার কথা আছে।
ইয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাহী বিভাগের কর্মকর্তাদের দিয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় পরিচালনা ও নির্বাচন পরিচালনা সংবিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। বিচার বিভাগের মতো নির্বাচন কমিশনকেও একটি পূর্ণ স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তার নিজস্ব ক্যাডার সার্ভিস ও লোকবল থাকা বাধ্যতামূলক।’
তিনি বলেন, ‘সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদে স্পষ্ট বলা আছে: নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের এবং নির্বাহী বিভাগ তাকে সহযোগিতা করবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায়, নির্বাচন পরিচালনার পুরো দায়িত্বই নির্বাহী বিভাগের হাতে তুলে দেয়া হচ্ছে। জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। এটা সংবিধানের চরম লঙ্ঘন।’
তিনি অভিযোগ করেন, এরইমধ্যে সরকার ও নির্বাচন কমিশন জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে বৈঠক করে তাদের আবারও নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব দেয়ার স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছে। ‘তাদের হাতে দায়িত্ব দিলে আরেকটি প্রভাবিত ও একপেশে নির্বাচন অনিবার্য।
রিটে নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব ক্যাডার সার্ভিস গঠন, ইলেকটোরাল সার্ভিস কমিশন প্রতিষ্ঠা এবং জাতীয় নির্বাচনে শুধু নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব কর্মকর্তাদের দিয়ে সচিব, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
রিটে প্রধান নির্বাচন কমিশন ও সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, আইন সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে এই রিট হাইকোর্টের কোনো বেঞ্চে শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী ইয়ারুল ইসলাম।
বিপি/আইএইচ
