চাঞ্চল্যকর আশরাফুল-হত্যা: রিমান্ডে সেই প্রেমিক-প্রেমিকা

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক ঢাকা
প্রকাশিত:১৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:২২ পিএম
চাঞ্চল্যকর আশরাফুল-হত্যা: রিমান্ডে সেই প্রেমিক-প্রেমিকা
নিহত ব্যবসায়ী আশরাফুল হক (ডানে) এবং দুই আসামি শামিমা আক্তার ও জরেজ মিয়া (উপরে ও নিচে)। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীতে চাঞ্চল্যকর আশরাফুল-হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ‘প্রধান সন্দেহভাজন’ জারেজুল ইসলাম ওরফে জরেজ ও তার প্রেমিকা শমীমা আক্তার ওরফে শামীমা ওরফে কহিনুরের ৫ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।

তদন্ত কর্মকর্তার সাত দিনের রিমান্ড আবেদনের শুনানি নিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় ইসরাত জেনিফার জেরিনের আদালত এ রিমান্ড আদেশ দেন।

প্রসিকিউশন বিভাগের এসআই জিন্নাত আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে, শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) দিবাগত রাত ৪টার দিকে কুমিল্লার দাউদকান্দি এলাকা থেকে এ দুজনকে গ্রেপ্তার করে ডিবির রমনা বিভাগ।

শনিবার তাদের আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি জোনাল টিমের এসআই মো. এনামুল হাসান।

আবেদনে বলা হয়, আসামিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে অবৈধভাবে লাভবান হওয়ার জন্য ভিকটিমকে রংপুর থেকে ঢাকায় আনতে এবং হত্যাকাণ্ডে কে কিভাবে জড়িত- তা উদঘাটনের জন্য, আশরাফুলের কাছ থেক ইতোপূর্বে অর্থনৈতিক সুবিধা নিয়েছে কি-না এবং করে থাকলে কত পরিমাণ তা জানার জন্য,

হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত হাতুড়ি/চাপাতি, দা-সহ উদ্ধারকৃত আলামত কে কিভাবে সরবরাহ করেছে- তা উদঘাটন এবং হত্যাকাণ্ডের পর লাশ/আলামত নষ্ট করা এবং লাশ গুম করতে কে বা কারা সহায়তা করেছে- তা জানার জন্য সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

শুনানিকালে আসামিদের এজলাসে তোলা হয়।

তবে আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। এ সময় বিচারক তাদের কিছু বলার আছে কি-না, জানতে চাইলে ‘কিছু বলার নেই’ বলে জানান আসামিরা। পরে আদালত থেকে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আদেশ আসে।

এর আগে, গত ১৩ নভেম্বর সন্ধ্যায় হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ মাঠের গেটের কাছে দুটি নীল ড্রাম থেকে খণ্ড-বিখণ্ড লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

প্রথমে ২৬ টুকরো লাশের পরিচয় পাওয়া না গেলেও আঙুলের ছাপ নিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্রের ডাটাবেজ থেকে পরিচয় শনাক্ত করা হয়।

জানা যায়, লাশটি রংপুরের বদরগঞ্জ উপজলার গোপালপুর ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামের ব্যবসায়ী আশরাফুল হকের।

এ ঘটনায় শুক্রবার শাহবাগ থানায় একটি মামলা করেন আশরাফুলের বোন। এ হত্যাকাণ্ডে তার ‘বন্ধু’জরেজকে ‘প্রধান সন্দেহভাজন’ হিসেবে খোঁজার কথা বলেছিল পুলিশ।

পরে শনিবার দুপুরে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসে জরেজকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে অতিরিক্ত কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম বলেছেন, এটা আসলে একটা ‘ত্রিভুজ প্রেমের কাহিনী’।