যৌন নির্যাতনকারীর শিকড় উপড়ে ফেলা হবে: ফরহাদ

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:১৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:৪৩ পিএম
যৌন নির্যাতনকারীর শিকড় উপড়ে ফেলা হবে: ফরহাদ

যৌন নির্যাতনকারী যত বড় প্রভাবশালী হোক না কেন, তার শিকড় উপড়ে ফেলা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাধারণ সম্পাদক (জিএস) এস এম ফরহাদ।

তিনি বলেন, ‘যে কোনো ধরনের ধর্ষণ, সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্টের বিরুদ্ধে ডাকসুর জিরো টলারেন্স। শিক্ষক, কর্মচারী, কিংবা যার মাধ্যমেই হ্যারাসমেন্টের ঘটনা ঘটুক না কেন, সে যত বড়ই প্রভাবশালী হোক না কেন, তার শিকড় আমরা উপড়ে ফেলব।’

এ সময় ধর্ষকের একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদণ্ড ছাড়া আর কিছুই হতে পারে না বলে মন্তব্য করেন আরেক ডাকসু নেতা মুসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মাদ।

শনিবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. এরশাদ হালিমের ‘বিকৃত যৌনাচারের’ দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে অনুষ্ঠিত শিক্ষার্থীদের মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে তারা এসব কথা বলেন।

ডাকসু জিএস বলেন, ‘একটি ক্রিমিনাল যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো ক্রাইমে অভিযুক্ত হয় এবং প্রমাণিত হয়, তখন দুটি জায়গা থেকে তার মৌলিক শাস্তি আসা উচিত। একটি হলো বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং আরেকটি রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু দুই জায়গাতেই আমরা যথেষ্ট গাফিলতি লক্ষ করেছি। শুধু গাফিলতি নয়, ইনটেনশনালি তারা বিষয়টি ইগনোর করছে।’

এস এম ফরহাদ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চাইলে তদন্ত কমিটি হতো, রিপোর্ট প্রকাশ হতো এবং সামগ্রিকভাবে একটি অ্যাকশনে যাওয়া যেত। অপরাধ যেমনই হোক, প্রমাণিত হওয়ার পর অ্যাকশন নেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব ছিল। আমরা সন্দেহ করছি সেই ফ্যাকাল্টি, সেই ডিপার্টমেন্ট কিংবা সংশ্লিষ্ট অন্য কোনো শিক্ষক এই ঘটনায় জড়িত কিনা, হয়তো সেই কারণেই পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।’

এ সময় ডাকসুর সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মুসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মাদ বলেন, ‘আপনারা জানেন অধ্যাপক এরশাদ হালিমকে গ্রেফতার করার পরে রাষ্ট্রের দায়িত্ব ছিল তাকে রিমান্ডে নিয়ে জবাবদিহি করা। কিন্তু আমরা লক্ষ্য করেছি রাষ্ট্র তার রিমান্ডের আবেদন করলই না। আমরা মনে করি এটি একটি বৃহৎ ষড়যন্ত্রের অংশ। তাকে কোনো রাজনৈতিক গোষ্ঠী শেল্টার দিচ্ছে? আমরা হুঁশিয়ারি করে বলে দিতে চাই, কালবিলম্ব না করে তার রিমান্ড আবেদন করে রিমান্ড কার্যকর করুন।’

তিনি বলেন, ‘আমরা আহ্বান জানাব জরুরি সিন্ডিকেট বৈঠক ডেকে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বরখাস্ত করতে হবে এবং ধর্ষকের একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদণ্ড ছাড়া আর কিছুই হতে পারে না।’

সমকামিতার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের সুস্পষ্ট আইন চাই উল্লেখ করে মুসাদ্দেক আলী বলেন, ‘যারা যারা সমকামিতার সঙ্গে জড়িত হবে তাদের রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।