যেভাবে হত্যা করা হয়েছিল আশরাফুলকে
চাঞ্চল্যকর আশরাফুল হত্যা মামলার জট খুলতে শুরু করেছে। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) স্বল্পতম সময়ে সুরাহা করেছেন ঘটনার ইতিবৃত্ত। ঘটনার পরদিনই গ্রেফতার করা হয় আশরাফুলের প্রেমিকা শামীমাসহ অভিযুক্ত ঘনিষ্ঠ বন্ধু জরেজ মিয়াকে (৪১)।
দুজনকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে বেড়িয়ে এলো হত্যাকাণ্ডের নৃশংস সব তথ্য।
মূলত, শামীমা আক্তার নামে সেই নারীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন দুই বন্ধু আশরাফুল ও জরেজ। এই ত্রিভুজ প্রেম ফাটল তৈরি করেছিল দুই বন্ধুর বন্ধুত্বে। যার জের ধরেই নৃশংসভাবে হত্যার শিকার হতে হয় আশরাফুলকে।
আশরাফুলকে প্রথমে বালিশ চাপা দিয়ে ধরে মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করা হয়। এতে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। হত্যাকাণ্ডে অংশ নেন জরেজ ও শামীমা আক্তার।
হত্যার পর আশরাফুলের মরদেহ দু’দিন বাসার ভেতরে রাখা হয়। মৃত্যুর দু’দিন পর তার মরদেহ জরেজ ও শামীমা মিলে কেটে ২৬ টুকরো করে দুটি ড্রামে ভরে গত বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ মাঠের সামনে ফেলে দেন এবং তারা কুমিল্লায় পালিয়ে যান।
এদিকে লাশের ময়নাতদন্ত করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রভাষক ডা. দীপিকা রায়। সুরতহাল প্রতিবেদনে লাশের ভয়ানক বিবিরণ উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, গলা থেকে নিচ পর্যন্ত ২৫ টুকরো, মাথাসহ মোট ২৬ টুকরো লাশ পাওয়া গেছে। চুল ও দাঁত স্বাভাবিক থাকলেও গলার নিচের অংশের অনেক অংশ মিল পাওয়া যায়নি।
ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
