ইউক্রেনজুড়ে রাশিয়ার বড় রকমের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা
ইউক্রেনে গত কয়েক মাসের মধ্যে সবচেয়ে বড় আকাশপথের হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) ভোররাত থেকে শুরু হওয়া এই হামলায় কয়েকশ ড্রোন ও শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে।
মস্কোতে একজন রুশ জেনারেলকে গাড়ি বোমা হামলায় হত্যার ঠিক একদিন পরই এই প্রতিশোধমূলক হামলা চালাল ক্রেমলিন।
ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ইউলিয়া সেভওয়ারেদেঙ্কো এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, রাশিয়া প্রায় ৬০০টি আত্মঘাতী ড্রোন এবং কয়েক ডজন দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে।
এই হামলায় মূলত ইউক্রেনের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি অবকাঠামোকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। বিশেষ করে দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় শহরগুলোতে জ্বালানি ব্যবস্থা পুরোপুরি অচল হয়ে পড়েছে। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির কারণে ইউক্রেনের অধিকাংশ অঞ্চল এখন বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছে, তারা অত্যাধুনিক ‘কিনঝাল’ হাইপারসনিক মিসাইল ব্যবহার করে ইউক্রেনের জ্বালানি কেন্দ্রগুলো ধ্বংস করেছে।
এছাড়া, রুশ বাহিনী ইউক্রেনের দেনিপ্রোপার্টভোস্ক অঞ্চলের আন্দ্রিভকা এবং খারকিভ প্রদেশের প্রাইলিপকা এলাকা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার দাবি করেছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, গতকাল মস্কোতে এক উচ্চপদস্থ রুশ জেনারেলকে গাড়ি বোমা হামলায় হত্যার প্রতিক্রিয়ায় এই ব্যাপক আক্রমণ চালানো হয়েছে।
যদিও ওই হত্যাকাণ্ডের দায় এখন পর্যন্ত কেউ স্বীকার করেনি, তবে রাশিয়া শুরু থেকেই এর জন্য ইউক্রেনকে দায়ী করে আসছিল।
কিয়েভ নগর প্রশাসন জানিয়েছে, তাদের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বেশ কিছু ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করতে সক্ষম হলেও অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো সম্ভব হয়নি।
হাড়কাঁপানো শীতের মধ্যে বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম মানবেতর পরিস্থিতির মুখে পড়েছেন সাধারণ ইউক্রেনীয়রা।