বিমান দুর্ঘটনায় লিবিয়ার সেনাপ্রধান নিহত
তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারার কাছে এক ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় লিবিয়ার সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোহাম্মেদ আলি আহমেদ আল-হাদ্দাদ এবং তার চারজন উচ্চপদস্থ সহযোগী নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে আঙ্কারা থেকে লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলির উদ্দেশে উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যেই তাদের বহনকারী ব্যক্তিগত বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।
লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবদুল হামিদ ডেবেইবা এক শোকবার্তায় এই খবর নিশ্চিত করে একে ‘মর্মান্তিক ও হৃদয়বিদারক’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলি ইয়েরলিকায়া জানান, স্থানীয় সময় রাত ৮টা ১০ মিনিটে আঙ্কারার এসেনবোয়া বিমানবন্দর থেকে বিমানটি যাত্রা শুরু করে। উড্ডয়নের ১৬ মিনিট পর পাইলট বিমানে ভয়াবহ বৈদ্যুতিক ত্রুটির কথা জানিয়ে জরুরি অবতরণের অনুমতি চান। তবে এর কিছুক্ষণ পরেই রাডার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বিমানটি।
অনুসন্ধান চালিয়ে আঙ্কারার হায়মানা জেলার কেসিককাভাক গ্রাম সংলগ্ন এলাকায় বিমানটির ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পায় তুর্কি উদ্ধারকারী দল। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, আকাশ থেকে আছড়ে পড়ার সময় তারা বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান।
দুর্ঘটনায় লিবিয়ার সামরিক উচ্চপদস্থ প্রতিনিধি দলের ৫ সদস্য এবং ৩ জন ফরাসি ক্রু সদস্যসহ মোট ৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন। নিহত লিবীয় কর্মকর্তারা হলেন, লিবিয়া গ্রাউন্ড ফোর্সেসের প্রধান জেনারেল আল-ফিতৌরি ঘারিবিল, সামরিক উৎপাদন কর্তৃপক্ষের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহমুদ আল-কাতাউই, সেনাপ্রধানের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ আল-আসাউই দিয়াব, সামরিক আলোকচিত্রী মুহাম্মদ ওমর আহমেদ মাহজুব।
তুর্কি বিচারমন্ত্রী ইলমাজ তুঞ্চ জানিয়েছেন, আঙ্কারার প্রধান প্রসিকিউটর কার্যালয় এই দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত শুরু করেছে। প্রাথমিক তদন্তে কোনো নাশকতার প্রমাণ মেলেনি, কারিগরি ত্রুটিকেই দুর্ঘটনার মূল কারণ হিসেবে ধরা হচ্ছে।
এই শোকাবহ ঘটনায় লিবিয়া সরকার দেশটিতে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে। উল্লেখ্য, তুরস্কের সামরিক কমান্ডারদের সাথে এক উচ্চপর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে লিবিয়ার এই প্রতিনিধি দলটি দেশে ফিরছিলেন।