পাকিস্তানে সশস্ত্র সংঘর্ষে ভারত সমর্থিত ৭ সন্ত্রাসী নিহত
পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের ডেরা ইসমাইল খান জেলার কুলাচি এলাকায় পরিচালিত এক গোয়েন্দাভিত্তিক অভিযানে (আইবিও) তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের (টিটিপি) ৭ সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দেশটির সেনাবাহিনীর গণমাধ্যম শাখা (আইএসপিআর) এ তথ্য জানিয়েছে।
আইএসপিআর এক বিবৃতিতে জানায়, সন্ত্রাসীদের উপস্থিতি সম্পর্কে বিশ্বাসযোগ্য গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এ অভিযান চালানো হয়।
সামরিক বাহিনীর ভাষায়, এরা ছিল ‘ফিতনা আল খাওয়ারিজ’ গোষ্ঠীর সদস্য—যাদের ভারত-সমর্থিত প্রক্সি গ্রুপ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।
অভিযান চলাকালে সেনারা সন্ত্রাসীদের একটি আস্তানায় কার্যকরভাবে হামলা চালায়, যার ফলে তীব্র গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
আইএসপিআর নিশ্চিত করেছে, গোলাগুলির সময় সাতজন খাওয়ারিজ নিহত হয়। নিহত সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর দাবি অনুযায়ী, তারা ওই এলাকায় একাধিক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিল।
এই সংঘর্ষে ৩৪ বছর বয়সি নায়েক ইয়াসির খান—মারদান জেলার বাসিন্দা—বীরত্বের সঙ্গে লড়াই করতে গিয়ে শহীদ হন।
আইএসপিআর শহীদ সেনা সদস্যের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তাকে “মাটির সাহসী সন্তান” আখ্যা দেয়, যিনি দায়িত্ব পালনকালে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন।
সেনাবাহিনী জানিয়েছে, এলাকায় অবশিষ্ট কোনো সন্ত্রাসী থাকলে তাদের নির্মূল করতে বর্তমানে স্যানিটাইজেশন বা ক্লিয়ারেন্স অভিযান চলমান রয়েছে।
নিরাপত্তা বাহিনী পুরো এলাকা তল্লাশি করে নিশ্চিত করছে, যেন ভবিষ্যতে কোনো ধরনের হুমকি না থাকে।
নিজেদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে আইএসপিআর বলেছে, পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলো বিদেশি পৃষ্ঠপোষকতাপ্রাপ্ত সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, জাতীয় কর্মপরিকল্পনার অংশ হিসেবে ফেডারেল অ্যাপেক্স কমিটি অনুমোদিত চলমান সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান ‘আজম-ই-ইস্তেহকাম’ পূর্ণ শক্তিতে অব্যাহত থাকবে, যাতে দেশ থেকে চরমপন্থা সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করা যায়। সূত্র: জিও নিউজ