ভেনেজুয়েলাকে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র দিচ্ছে রাশিয়া, উদ্বেগে আমেরিকা
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যে রাশিয়া থেকে উন্নত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘পান্তসির এফ-১’ এবং ‘বুক-এম২ই’ নিচ্ছে ভেনেজুয়েলা। একই সঙ্গে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রও দিতে চাচ্ছে রাশিয়া। এর মাধ্যমে নিজের প্রতিরক্ষা সক্ষমতাকে উল্লেখযোগ্যভাবে শক্তিশালী করে আমেরিকার কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলে দিয়েছে নিকোলাস মাদুরোর দেশ।
রোববার (৯ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে ফার্স নিউজ।
এতে বলা হয়েছে, যখন ক্যারিবীয় সাগরে মার্কিন সেনাবাহিনীর উসকানিমূলক সামরিক উপস্থিতি বাড়ছে, তখন রাশিয়া থেকে পাঠানো উন্নত অস্ত্র সরঞ্জাম এবং কাঁধে বহনযোগ্য হাজার হাজার ক্ষেপণাস্ত্রের প্রথম চালান ভেনেজুয়েলায় পৌঁছেছে।
এছাড়া হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের মতো আরও উন্নত কৌশলগত অস্ত্র পাঠানোর হুমকি দিয়েছে রাশিয়া। এ নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের যুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রিসভাতেও মতবিরোধ দেখা দিয়েছে।
মস্কো ও কারাকাসের সরকারি সূত্রগুলো এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
ফার্স নিউজ জানিয়েছে, দুই দেশের প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তির আওতায় রাশিয়া এসব অস্ত্র সরবরাহ করছে।
রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সতর্ক করে বলেছেন, ‘ভেনেজুয়েলার সার্বভৌমত্ব রক্ষায় রাশিয়া দৃঢ়ভাবে পাশে থাকবে এবং যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো সামরিক পদক্ষেপ গোটা অঞ্চলকে আরও অস্থিতিশীল করে তুলবে।’
রুশ সূত্রগুলো আরও জানিয়েছে, রাশিয়া ভেনেজুয়েলাকে দীর্ঘপাল্লার ‘কালিবর’ ক্রুজ মিসাইল এবং নতুন প্রজন্মের ‘ওরেশনিক’ হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের বিষয়টিও বিবেচনা করছে। এই অস্ত্রগুলো কারাকাসের কৌশলগত অবস্থানকে আমূল পাল্টে দিতে পারে।
এদিকে, ট্রাম্প প্রশাসন বিমানবাহী রণতরী ‘ইউএসএস জেরাল্ড ফোর্ড’, পারমাণবিক সাবমেরিন এবং হাজার হাজার মার্কিন মেরিন মোতায়েন করে গোটা অঞ্চলে নিজেদের সবচেয়ে বড় সামরিক উপস্থিতি প্রদর্শন করছে।
তবে ওয়াশিংটন থেকে ফাঁস হওয়া প্রতিবেদনগুলোতে জানা গেছে, মার্কিন প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা এখনো এ নিয়ে ব্যাপক দ্বিধার মধ্যে রয়েছেন এবং তাদের মধ্যে মতবিরোধ বিরাজ করছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং ভেনেজুয়েলার বিরোধী নেত্রী মারিয়া কোরিনা মাচাদো’র মতো কট্টরপন্থিরা এখনো যুদ্ধের দাবিতে সোচ্চার।
তবে রাশিয়াসহ লাতিন আমেরিকার প্রতিরোধ অক্ষ নিজেদের প্রতিরক্ষা ও প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে ওয়াশিংটনের কৌশলগত হিসাবকে গভীর সংকটে ফেলে দিয়েছে।
