এখনও বৈঠকের সুযোগ আছে পুতিনের সঙ্গে: ট্রাম্প
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মনে করেন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির সঙ্গে বাতিল হওয়া বৈঠকটি ফের হওয়ার সুযোগ আছে। আর বৈঠকের ভেন্যু হিসেবে বুদাপেস্টই প্রথম পছন্দ আমেরিকার প্রেসিডেন্টের ।
গতকাল শুক্রবার ওয়াশিংটনে আমেরিকার প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন ও দপ্তর হোয়াইট হাউসে হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অর্বানের সঙ্গে বৈঠক করেন ট্রাম্প। বৈঠকের পর এক ব্রিফিংয়ে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, “(পুতিনের সঙ্গে) বৈঠকের সম্ভাবনা ছিল ছিলো এবং এখনও আছে, বেশ ভালোভাবেই আছে।”
ইউক্রেনে যুদ্ধের অবসান নিয়ে গত অক্টোবরের শেষ দিকে হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টে ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল ডোনাল্ড ট্রাম্পের। বৈঠকের আয়োজনের জন্য প্রস্তুতিও শুরু করেছিল হাঙ্গেরি। তবে এর মধ্যেই গত ২৩ অক্টোবর অনেকটা অপ্রত্যাশিতভাবেই নির্ধারিত সেই বৈঠক বাতিল করেন ট্রাম্প।
এর কারণ সম্পর্কে পরে ট্রাম্প বলেছিলেন, তার কাছে মনে হয়েছে যে উদ্দেশে বৈঠকের আয়োজন—তা সফল হবে না। তাই তিনি বৈঠকটি বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
গতকাল শুক্রবারের ব্রিফিংয়েও সেই কথার পুনরাবৃত্তি করেছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেছেন, “আমি হাঙ্গেরির বুদাপেস্টেই এটা (বৈঠক) হোক। সেখানে আগের প্রস্তাবিত বৈঠকটি আমি বাতিল করেছিলাম। কারণ আমার মনে হয়েছিল সেটি থেকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু আসবে না। কিন্তু যদি সত্যিই বৈঠকটি হয়, তাহলে আমি চাইব বুদাপেস্টেই সেটি হোক।”
এদিকে বাতিল হওয়া বৈঠক নিয়ে গত সপ্তাহে একটি প্রতিবেদেন করেছে ব্রিটিশ দৈনিক ফিন্যান্সিয়াল টাইমস। সেখানে বলা হয়েছে, বৈঠক বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মার্কো রুবিও। ওই ফোনালাপের পর রুবিও ট্রাম্পকে জানান, মস্কো বোঝাপড়ায় আসতে রাজি নয়। তারপরই বৈঠক বাতিলের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন ট্রাম্প।
বাতিল হওয়া সেই বৈঠকের ভেন্যু হিসেবে ফের বুদাপেস্টকে নির্ধারণ করার কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, “ভিক্টর (হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অর্বান) পুতিনকে ভালোভাবে জানেন এবং তাকে বুঝতে পারেন। তিনি মনে করছেন, (যদি বৈঠক না হয়, তাহলে) শিগগিরই আমেরিকা ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ বেঁধে যেতে পারে।”
“আর একটি কথা আমি যোগ করতে চাই, শুধু আমেরিকার সরকার এবং ইউরোপের ছোটো দেশ হাঙ্গেরির সরকার শান্তিকামী। অন্যান্য যত সরকার আছে— তারা সবাই চাই যুদ্ধ অব্যাহত থাকুক। কারণ তারা অনেকেই এখনও মনে করে যে ইউক্রেন জিততে পারবে। যুদ্ধক্ষেত্রের বাস্তব অবস্থা সম্পর্কে ধারণা অল্প থাকার কারণেই এমন মনে করে তারা।”
সূত্র : নিউইয়র্ক টাইমস
