সর্বাধুনিক বিমানবাহী রণতরী পেল চীনের নৌবাহিনী
আনুষ্ঠানিকভাবে চীনা নৌবাহিনীতে যুক্ত হলো দেশটির সর্বাধুনিক বিমানবাহী রণতরী ‘ফুজিয়ান’। চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত বিশাল কমিশনিং অনুষ্ঠানের কয়েক দিনের মধ্যেই রণতরীটি কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে এ খবর দিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
ফুজিয়ান হলো চীনের তৃতীয় বিমানবাহী রণতরী, তবে প্রযুক্তিগতভাবে এটি সবচেয়ে উন্নত। এতে রয়েছে ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ক্যাটাপাল্ট সিস্টেম, যা যুদ্ধবিমানগুলোকে উচ্চগতিতে উড্ডয়নে সহায়তা করবে। একই ধরনের প্রযুক্তি বর্তমানে কেবল যুক্তরাষ্ট্রের রণতরীতেই ব্যবহৃত হচ্ছে।
চীনা রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যমের ভাষ্য অনুযায়ী, ফুজিয়ানের এই প্রযুক্তি চীনকে সামুদ্রিক শক্তিতে এক ধাপ এগিয়ে নেবে। এখন দেশটির নৌবাহিনী জাহাজসংখ্যার দিক থেকে বিশ্বের সবচেয়ে বড়। শি জিনপিংয়ের নেতৃত্বে গত এক দশকে চীনের নৌবাহিনীর আধুনিকীকরণ অভূতপূর্ব গতি পেয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করছে।
ফুজিয়ান রণতরীতে একইসঙ্গে তিন ধরনের যুদ্ধবিমান উড্ডয়নের সক্ষমতা রয়েছে। সমতল ফ্লাইট ডেক এবং শক্তিশালী ক্যাটাপাল্টের মাধ্যমে এটি ভারী অস্ত্র ও বেশি জ্বালানি বহনকারী বিমান মোতায়েন করতে পারবে। যা দূরপাল্লায় আঘাত হানার ক্ষমতা বাড়াবে। এর ফলে ফুজিয়ান চীনের আগের দুই রণতরী লিয়াওনিং ও শানডং-এর তুলনায় আরও বেশি কার্যকর হয়ে উঠেছে।
রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমগুলো ফুজিয়ানকে চীনের নৌবাহিনীর ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক বলে অভিহিত করেছে। এর কমিশনিং অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয় দক্ষিণাঞ্চলীয় হাইনান প্রদেশে। সেখানে প্রেসিডেন্ট শি নিজে রণতরীর ডেকে উঠে এর সামুদ্রিক কর্মক্ষমতা সম্পর্কে বিস্তারিত শোনেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ক্যাটাপাল্ট প্রযুক্তি ব্যবহারের সিদ্ধান্ত ব্যক্তিগতভাবে শি জিনপিং-ই নিয়েছিলেন। অনুষ্ঠানে রণতরীর ডেকে সারিবদ্ধ নাবিকরা পার্টির প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে একযোগে স্লোগান দেন, দলের আদেশ মেনে চল, জয়লাভের জন্য লড়াই করো এবং সুশৃঙ্খল আচরণ বজায় রাখো।
