মনে রাখবেন, আমার মেয়ে কোনো ব্যবসার উপাদান নয়: পরীমণি


গেল বছর একটি কন্যাশিশু দত্তক নিয়েচেন চিত্রনায়িকা পরীমণি। মায়ের আদর দিয়েই তাকে বড় করে তুলছেন তিনি। এক ছেলে ও এক মেয়েকে ঘিরেই এখন তার দুনিয়া। সামাজিক মাধ্যমে চোখ রাখলেই তা কিছুটা বোঝা যায়। তিন্তু সপ্তাহ দুয়েক ধরে নেটিজেনদের একটি অংশ দাবি করছেন, সন্তান দত্তক নেওয়ার সঙ্গে তার মামলার যোগসূত্র রয়েছে! মামলা থেকে জামিন পেতেই নাকি সন্তান দত্তক নেন তিনি! এবার নিজের ব্যক্তিগত জীবন ও সন্তানদের নিয়ে চলা সমালোচনার জবাব দিলেন নায়িকা।
সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া দুটি পোস্ট করেছন পরীমণি। সেখানে স্পষ্ট জানিয়ে দেন ব্যক্তিগত জীবনে অতি উৎসাহী মানুষের নাক গলানো তিনি সহ্য করবেন না।
পরীমণি লেখেন, ‘খেয়াল করলে দেখবেন, আমাদের জীবনের আনাচে কানাচে অতি উৎসাহী মানুষের অভাব নেই। তাদের জীবনের অভাব পূরণ হয় অন্যের জীবন নিয়ে আলোচনা করে। আমরা শোবিজে কাজ করি বলে আমাদের জীবনও সবার মতোই সাধারণ, আমার ক্ষেত্রেও তাই।’
দত্তক মেয়েকে নিয়ে গুজবের জবাবে পরীমণি বলেন, ‘আমি ঘরে চুলে তেল মেখে আরাম করে ঘরের কাজ করি। বাচ্চাদের খাবার নিজেই রান্না করি (শারীরিক অসুস্থতা বা শুটিং না থাকলে)। এর আগে আমার নানা ভাইয়ের রান্না থেকে সব কাজও নিজে করতাম।’
এই নায়িকা লিখেছেন, ‘‘অদ্ভুত ব্যাপার হলো পাবলিক ফিগার বলে নাকি জীবনের সব কিছু খুলে বলতে হবে! কিছু অবাঞ্ছিত মানুষ আমার মেয়েকে নিয়ে পোস্ট দিচ্ছে, আমাকে ট্যাগ করছে, কমেন্ট করছে ‘দত্তক মেয়েকে তো দেখি না আর!’ প্রথমত, মেয়েটা আমার মেয়ে। কথায় কথায় দত্তক দত্তক বলে কারা আনন্দ পায় বুঝি না। মেয়ের ছবি বা ভিডিও দিলে কিছু লোক কনটেন্ট পেয়ে যায়, ক্যাপশনে ‘দত্তক’ লিখে ভিউ ব্যবসা শুরু করে। আমার মেয়ে কোনো ব্যবসার উপাদান নয়-এটা মনে রাখবেন।’’
ওই পোস্টের শেষে পরীমণি বলেন, ‘আমার ইচ্ছে হলে আমি বাচ্চাদের ছবি দেব, ইচ্ছে হলে দেব না। এই সহজ কথাটা মাথায় রাখুন। কমেন্টে কমেন্টে আমার বাচ্চাদের খুঁজবেন না। আমি কি বাচ্চাদের খালে ফেলে দিয়েছি নাকি? হিহিহি… খুশি? হ্যাপি ফ্রেন্ডশিপ ডে! আমার সব শুভাকাঙ্ক্ষী ও অনুসারীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।’
অন্য একটি পোস্টে পরীমণি লিখেছেন, ‘পরীমনি মা, তোমার তাতে কী আসে যায় মা! কক্সবাজার যাবার আগের দিনেও তার সাথে খেললাম! একটা জীবন্ত পুতুল! কী সুন্দর করে হাসি দেয় আর আম্মা বলে ডাকলো তোমাকে! আর রাজ্য তো তার বোনকে যেভাবে কেয়ার করে! এমন করেই যেন তারা ভালো থাকে। সকল বাচ্চারা হাসি খুশি থাকলে কার না ভালো লাগে। সবাই বাচ্চাদের ভালোবাসে। এটাই স্বাভাবিক আর মানবিক। আর সব অস্বাভাবিক। যারা নেগেটিভ মানুষ তারা ভালোকে ভালো বলতে পারে না। ভালো ভাবতে পারে না। তাদের কাজ হচ্ছে নেগেটিভ ভাবা, নেগেটিভ খোঁজা।