ধামরাইয়ে ৫ অবৈধ ইটভাটা বন্ধ, জরিমানা ১৫ লাখ

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:২৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:৫৫ পিএম
ধামরাইয়ে ৫ অবৈধ ইটভাটা বন্ধ, জরিমানা ১৫ লাখ
ছবি- সংগৃহীত

ঢাকার ধামরাইয়ের সূতিপাড়া ও রোয়াইলে পাঁচটি ইটভাটাকে মোট ১৫ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। একই সঙ্গে ইটভাটাগুলোর কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (২৬ নভেম্বর) পরিবেশ অধিদপ্তর, ঢাকা জেলা কার্যালয় এবং সদর দপ্তরের মনিটরিং অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট শাখার যৌথ অভিযান চালানো হয়।

অভিযানে মেসার্স রাইসুর অ্যান্ড সামসুদ্দিন ব্রিকস, মেসার্স থ্রিস্টার ব্রিকস, মেসার্স লায়ন ব্রিকস, মেসার্স দাদা ব্রিকস এবং মেসার্স এস এন ব্রিকস অ্যান্ড কোং—প্রতিটি ইটভাটাকে ৩ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়।

একই দিনে ধামরাই উপজেলার কুল্লা ও রোয়াইল এলাকায় অবস্থিত মেসার্স মাহী ব্রিকস এবং মেসার্স এবিসি ব্রিকস নামে দুটি ইটভাটার চিমনি ভেঙে গুড়িয়ে দিয়ে তাদের কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেওয়া হয়।

পাশাপাশি রোয়াইল এলাকার মেসার্স ডিএসবি রি-সাইক্লিং প্লান্ট ভেঙে গুঁড়িয়ে কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

এ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রেজওয়ান-উল-ইসলাম।

অভিযানে প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন পরিবেশ অধিদপ্তর ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. নাজমুল হোসেন।

উপস্থিত ছিলেন মনিটরিং অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট উইং-এর পরিচালক সৈয়দ ফরহাদ হোসেন, ঢাকা জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. ইলিয়াস মাহমুদ, পরিদর্শক নয়ন কুমার রায় এবং পরিদর্শক এস এম মনজুর-উল-আলম।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বাংলাদেশ পুলিশের একটি বাহিনী, র‍্যাবের এক প্লাটুন, ফায়ার সার্ভিসের একটি চৌকস দল এবং পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মীরা সহায়তা করেন।

অন্যদিকে আজ ঢাকার শ্যামলী থানাধীন শিশুমেলা এলাকায় পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিআরটিএ কর্তৃক যৌথ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। অভিযানে মোট ২০টি ডিজেলচালিত বাস, ট্রাক ও লরির ধোঁয়ার গ্যাসীয় নিঃসরণ স্মোক ওপাসিটি মিটার দ্বারা পরিমাপ করা হয়।

পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০) এর ধারা ৬(১) লঙ্ঘনের কারণে সংশ্লিষ্ট বিধিমালা অনুযায়ী চারটি মামলায় মোট ১৪ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

একই অভিযানে হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহারের কারণে শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০০৬ এর ৮(১) বিধি লঙ্ঘন করায় দুইটি যানবাহনকে মোট ৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন পরিবেশ অধিদপ্তর, সদর দপ্তরের মনিটরিং অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট উইং-এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফয়জুন্নেছা আক্তার এবং প্রসিকিউশন করেন ঢাকার পরিবেশ অধিদপ্তর গবেষণাগারের সহকারী পরিচালক মো. ফখর উদ্দিন চৌধুরী।