বাউল আবুল সরকারের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি হেফাজতের
ইসলাম ধর্ম ও মহান সৃষ্টিকর্তাকে নিয়ে কটূক্তির দায়ে বাউল আবুল সরকারের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেছেন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় মহাসচিব আল্লামা সাজেদুর রহমান।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে সংগঠনটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি করেন তিনি।
বিবৃতিতে হেফাজত মহাসচিব বলেন, ভন্ড বাউল আবুল সরকার প্রকাশ্যে আল্লাহকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য ও মিথ্যাচার করে স্থানীয় সচেতন মুসলমানদের প্রতিবাদের মুখে গ্রেফতার হয়েছেন, যা আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। তাকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি কাম্য নয়।
ধর্ম অবমাননার ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, এ ঘটনায় প্রশাসনের কেউ স্থানীয় প্রতিবাদী আলেম সমাজ ও ধর্মপ্রাণ জনতাকে হয়রানি করলে তার পরিণতি ভালো হবে না বলে আমরা কঠোরভাবে সরকারকে হুঁশিয়ারি দিচ্ছি। মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের দায়ে আমরা উসকানিদাতা আবুল সরকারের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করছি, যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ এভাবে ধর্মীয় উত্তেজনা সৃষ্টিকারী বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থাকে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় এক ভিডিওতে সচেতন বাউল শিল্পীরাও আবুল সরকারের ইসলামবিরোধী কথাবার্তার সমালোচনা করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বলে দাবি করে আল্লামা সাজেদুর রহমান বলেন, আবুল সরকারের ইসলাম অবমাননার বিষয়টি আড়াল করার সুযোগ নেই। আমাদের প্রশ্ন- ভন্ড বাউল আবুল সরকারের পক্ষে দাঁড়ানো সেক্যুলার প্রগতিশীলরা কি সমাজে ধর্ম অবমাননা করার অধিকার চান?
তাসাউফ বা সুফিবাদ ইসলামের আত্মদার্শনিক রূপ উল্লেখ করে হেফাজত মহাসচিব বলেন, কিন্তু বাউলবাদের আড়ালে কারো ইসলাম বিকৃতি ও অবমাননা সমর্থনযোগ্য নয়। কথিত বাউল আবুল সরকারের সুস্পষ্ট ধর্ম অবমাননা সত্ত্বেও তার পক্ষে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদী মুসলমানদের কলঙ্কিত করা এ দেশে ইন্ডিয়ার স্বার্থ রক্ষার শামিল। এ ঘটনায় ইন্ডিয়াপন্থি উগ্র বামরাও সরব হয়েছে। জুলাই বিপ্লব বানচাল করতে ইন্ডিয়ার চক্রান্তে দেশে যেকোনো অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা প্রতিহত করা হবে।
এদিকে, ইসলাম ধর্ম ও মহান সৃষ্টিকর্তাকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় কারাবন্দি বাউল শিল্পী আবুল সরকারের কঠোর শাস্তি চেয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।
তিনি বলেন, বাউল আবুল সরকারের মুক্তি নয়, কঠোর শাস্তি চাই। বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী তার যথাযোগ্য শাস্তি হলে পরবর্তীতে কেউ আর এমন কটূক্তি করবেনা। তিনি সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতেই এ ধরনের কটূক্তি করেছেন।
আবুল সরকারকে উদ্দেশ করে রাশেদ খান বলেন, ‘আপনি শিল্পী, আপনার শিল্পচর্চায় কেউ বাধা দেবেনা। কিন্তু আপনি আল্লাহ ও ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করতে পারেন না।’
