বিচারকের ছেলে হত্যা: চার পুলিশ সদস্য বরখাস্ত
রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আব্দুর রহমানের ছেলে তওসিফ রহমান তৌসিফকে (১৫) হত্যা এবং স্ত্রী তাসমিন নাহার লুসিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় এক কর্মকর্তাসহ ৪ পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজশাহী মেট্টোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার সদর (ডিসি-সদর) দপ্তরের দায়িত্বে নিয়োজিত অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ খোরশেদ আলম পিপিএম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, বিচারকের স্ত্রী তাসমিন নাহার লুসিকে (৪৪) হত্যাচেষ্টার সময় নিজের চাকুতেই দুই হাতে কিছুটা জখম হন আসামি লিমন মিয়া (৩৪)। ভুক্তভোগীর পাশাপাশি তাকেও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৪নং ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন লিমনের পাহারায় নিযুক্ত ছিলেন আরএমপির একজন উপ-পরিদর্শক ও তিনজন কনস্টেবল। ঘটনার রাতেই পুলিশ হেফাজতে থাকাবস্থায় লিমনের বয়ান ভিডিও করে বিভিন্ন সামাজিকমাধ্যমে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এ ভিডিও সামাজিকমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়া নিয়ে চরম বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখে পড়ে আরএমপি। শনিবার রাজশাহীর একটি আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে একটি বিবিধ মামলা রুজু করেন। এ মামলায় আগামী ১৯ নভেম্বর আরএমপির কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ানকে সশরীরে আদালতে হাজির হয়ে ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে আদেশ জারি করা হয়।
অন্যদিকে পুলিশ হেফাজতে থাকা একজন আসামির ভিডিও বক্তব্য রেকর্ডের সময় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে ঘটনার দিন রাত থেকেই বিষয়টি নিয়ে পুলিশি তদন্ত শুরু হয়। তদন্ত শেষে প্রাথমিকভাবে লিমনের পাহারায় নিয়োজিত চার পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ প্রমাণিত হয়। এর প্রেক্ষিতে ওই পুলিশ সদস্যদের সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে তাদের পুলিশ লাইনসে ক্লোজড করা হয়েছে।
পাশাপাশি, তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের অধিকতর তদন্তে একটি কমিটিও করা হয়েছে।
এ বিষয়ে আরএমপির অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ খোরশেদ আলম পিপিএম জানান, বিধিবদ্ধ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া পুলিশ হেফাজতে থাকা কোনো অপরাধীর বক্তব্য সামাজিকমাধ্যম বা যে কোনো গণমাধ্যমে প্রচার ও প্রকাশ করা বেআইনি। এতে সংঘটিত অপরাধের তদন্ত প্রভাবিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
