স্ত্রীর গলাকাটা লাশের পাশেই পড়ে ছিলেন আহত স্বামী

Staff Reporter
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক গাজীপুর
প্রকাশিত:১৫ নভেম্বর ২০২৫, ১১:৪৬ এএম
স্ত্রীর গলাকাটা লাশের পাশেই পড়ে ছিলেন আহত স্বামী
প্রতীকী ছবি

গাজীপুর মহানগরের কোনাবাড়ী এলাকায় একটি ভাড়া ফ্লাট থেকে এক গৃহবধূর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের নাম রহিমা বেগম। একই সঙ্গে গুরুতর রক্তাক্ত অবস্থায় তার স্বামী ইমরান হোসেনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

শনিবার (১৫ নভেম্বর) সকালে নওয়াব আলী মার্কেট এলাকার একতা ভিলার ৫ তলার একটি ফ্লাট থেকে রহিমার মরদেহ উদ্ধার করে কোনাবাড়ী থানা পুলিশ। এ সময় লাশের পাশেই গুরুতর আহত ও রক্তাক্ত অবস্থায় ছিলেন স্বামী ইমরান হোসেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে দ্রুত গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ইমরান হোসেনের বাড়ি ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট থানার আমতলা গ্রাম। তার পিতার নাম সুরুজ আলী। ইমরানের দ্বিতীয় স্ত্রী রহিমা বেগম। ইমরান পেশায় কসাইয়ের কাজ করতেন এবং তার স্ত্রী ছিলেন গৃহিণী।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইমরান ও রহিমা তাদের ১৬ বছর বয়সী মেয়ে শারমিনকে নিয়ে ওই ফ্লাটে ভাড়া থাকতেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কোনো কলহ বা মতবিরোধের জেরে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে।

এলাকাবাসীর তথ্যমতে, পারিবারিক বিরোধের জেরে ইমরান একটি ধারালো দা দিয়ে প্রথমে স্ত্রী রহিমাকে গলা কেটে হত্যা করেন। এরপর তিনি নিজের গলা কাটার চেষ্টা করেন। তাদের ১৬ বছর বয়সী মেয়ে শারমিন পুরো ঘটনাটি দেখেছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘মরদেহ উদ্ধারের পর তল্লাশি চালিয়ে আহত অবস্থায় স্বামী ইমরান হোসেনকে পাওয়া যায়। তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। স্ত্রীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হচ্ছে। ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে মেয়ে শারমিনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’

এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।