যে কারণে ৩ উপদেষ্টার গাড়ির সামনে শুয়ে পড়ল জনতা
ভোলা-বরিশাল সেতুসহ ৫ দফা দাবিতে অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মো. ফাওজুল করিম খান, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান এবং বাণিজ্য, বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দীনের গাড়ির সামনে শুয়ে পড়ে অবরোধ করেছেন স্থানীয় জনতা।
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) বিকাল সোয়া ৫টার দিকে ভোলা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় জনতা প্রায় ৫ মিনিট তাদের গাড়ির সামনে শুয়ে সড়ক অবরোধ করে রাখেন। পরে জেলা বিএনপির নেতারা এসে আন্দোলনকারীদের বুঝিয়ে সুজিয়ে অবরোধ তুলে নেন।
এর আগে বিকাল ৪টার দিকে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলার অর্থনৈতিক উন্নয়ন সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা করেন তিন উপদেষ্টা।
এ সময় উপদেষ্টা মো. ফাওজুল করিমের কাছে ভোলা-বরিশাল সেতুর বিষয়ে আশানুরুপ কোনো বক্তব্য না পাওয়ায় প্রথমে সেখানে বিক্ষোভ করেন আন্দোলনকারীরা। এরপর তিন উপদেষ্টার গাড়ির সামনে শুয়ে দাবি আদায়ের চেষ্টা করেন তারা।
তরিকুল ইসলাম কায়েদ, মীর মোশারেফ অমি ও মো. মেহেদী হাসান নামের তিন আন্দোলনকারী জানান, ভোলা-বরিশাল সেতুসহ ৫ দফা দাবি আমাদের দীর্ঘদিনের। আমরা ঢাকায় গিয়ে উপদেষ্টাদের সঙ্গে কথা বলেছি। উপদেষ্টা মো. ফাওজুল করিম কয়েক মাস আগে আমাদের বলেছেন, জানুয়ারির বা ফেব্রুয়ারির মধ্যে কাজ শুরু হবে। কিন্তু তিনি আজ ভোলায় এসে বলছেন, নতুন করে আবারও সম্ভাব্যতার কাজ শুরু হবে। ভোলা-বরিশাল সেতু কবে হবে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। এজন্য আমরা উপদেষ্টাদের গাড়ি অবরোধ করেছি।
শনিবার সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি ও ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন লিমিটেড অফিসের সামনে কঠোর আন্দোলন করবেন বলেও জানান তারা।
