নিষিদ্ধ ক্রিয়েটররা ফিরছে ইউটিউবে

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:১৫ অক্টোবর ২০২৫, ০১:৪১ পিএম
নিষিদ্ধ ক্রিয়েটররা ফিরছে ইউটিউবে
ছবি : সংগৃহীত

যারা নিষিদ্ধ হয়েছিল এমন কিছু ব্যবহারকারীকে নতুন অ্যাকাউন্ট খুলে ভিডিও পোস্ট করার খুব শিগগিরই অনুমতি দিচ্ছে ইউটিউব। ফলে এমন কিছু ভিডিও আবার ফিরে আসতে পারে। যা একসময় ইউটিউবের পুরনো নীতিমালা ভঙ্গ করেছিল।

গত মাসে ইউটিউব ঘোষণা করে, নির্দিষ্ট শর্তে আগের নিষিদ্ধ ব্যবহারকারী এবং তাদের কিছু কনটেন্টকে পুনরায় ফিরিয়ে আনা হবে। এই পদক্ষেপ আসে আমেরিকার রিপাবলিকান আইনপ্রণেতাদের এক তদন্তের পর। যেখানে অভিযোগ করা হয়েছিল যে বাইডেন প্রশাসন নির্দিষ্ট ধরনের কনটেন্ট সরাতে প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর ওপর চাপ প্রয়োগ করেছিল।

ইউটিউব জানিয়েছে, গত কয়েক বছরে তারা কোভিড ১৯ সংক্রান্ত বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ও ২০২০ সালের মার্কিন নির্বাচন ফলাফল নিয়ে ভুল তথ্য প্রচার সম্পর্কিত নিষেধাজ্ঞাগুলো তুলে নিয়েছে। ফলে যেসব চ্যানেল এই কারণে বন্ধ হয়েছিল তারা এখন পুনরায় ফিরে আসার সুযোগ পাচ্ছে।

কোম্পানির ব্লগ পোস্টে বলা হয়েছে, “আমরা জানি অনেক ক্রিয়েটর দ্বিতীয় সুযোগ পাওয়ার যোগ্য। ইউটিউব ২০ বছরে যেমন বদলেছে, আমাদের কমিউনিটির সঙ্গেও আমরা নতুনভাবে ভারসাম্য তৈরি করতে চাই।”

আগের নিষিদ্ধ কিছু ব্যবহারকারী এখন তাদের পুরনো অ্যাকাউন্টে লগইন করলে “নতুন অ্যাকাউন্ট তৈরির অনুরোধ” করার সুযোগ পাবেন। তবে এটি সবাই একসাথে পাবেন না। ইউটিউব ধীরে ধীরে আবেদন গ্রহণ করবে যাতে রিভিউ প্রক্রিয়ায় দেরি না হয়। নিষিদ্ধ হওয়ার কমপক্ষে এক বছর পর ব্যবহারকারীরা এই সুযোগ পাবেন।

ইউটিউব বলেছে, আবেদনগুলো যাচাই করা হবে ব্যবহারকারীর পূর্ববর্তী আচরণ, নিয়মভঙ্গের মাত্রা এবং তৃতীয় পক্ষের প্ল্যাটফর্মে তাদের কর্মকাণ্ডের ওপর ভিত্তি করে। তবে কপিরাইট লঙ্ঘন, ক্রিয়েটর রেসপনসিবিলিটি নীতি ভঙ্গ বা নিজে থেকে চ্যানেল মুছে ফেলা ব্যবহারকারীরা এই প্রোগ্রামে অন্তর্ভুক্ত হবেন না।

যাদের আবেদন অনুমোদিত হবে তারা তাদের পুরনো চ্যানেল বা সাবস্ক্রাইবার ফিরে পাবেন না। সম্পূর্ণ নতুনভাবে শুরু করতে হবে। তবে তারা চাইলে আগের ভিডিওগুলো পুনরায় আপলোড করতে পারবেন। যদি সেগুলো ইউটিউবের বর্তমান কমিউনিটি গাইডলাইনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়। অর্থাৎ আগে নিষিদ্ধ হওয়া কিছু ভিডিও এখন আর নিয়মভঙ্গ হিসেবে গণ্য নাও হতে পারে।

এই নতুন অ্যাকাউন্টগুলো ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামে যোগ দিতে পারবে। যদি তারা প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ করে। তাদের জন্যও প্রযোজ্য থাকবে তিন–স্ট্রাইক নীতি।

ইউটিউব বলছে, এই পরিবর্তন তাদের “স্বাধীন মতপ্রকাশের প্রতিশ্রুতি”র অংশ। সংস্থার এক মুখপাত্র জানান, “আমরা চাই ব্যবহারকারীরা স্পষ্টভাবে বুঝুক কোন নিয়ম ভঙ্গ করলে তারা নিষিদ্ধ হতে পারে।”

মেটা সিইও মার্ক জুকারবার্গও জানিয়েছেন, তার কোম্পানি “স্বাধীন মতপ্রকাশে” ফিরে যাচ্ছে এবং আর তৃতীয় পক্ষের ফ্যাক্টচেকারদের ওপর নির্ভর করবে না।