টানা ম্যাচ জয়ের বিশ্বরেকর্ড গড়ল মরক্কো


২০২২ কাতার বিশ্বকাপে বড় চমক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিল আশরাফ হাকিমি ও ইয়াসিন বুনোদের দল মরক্কো। বেশ কয়েকটি পরাশক্তি দেশকে বিদায় করে প্রথম আফ্রিকান দল হিসেবে সেমিফাইনালে উঠে তারা ইতিহাস গড়েছিল। সেই ধারাবাহিকতা ধরে রেখে সেপ্টেম্বরে আফ্রিকার প্রথম দল হিসেবে ২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করে মরক্কো। এবার তারা টানা সর্বোচ্চ ম্যাচ জয়ের বিশ্বরেকর্ড গড়ল।
আমেরিকা, কানাডা ও মেক্সিকোয় হতে যাওয়া বিশ্বকাপের টিকিট কাটলেও, বাছাইপর্বে ম্যাচ বাকি ছিল ব্রাহিম দিয়াজদের। গতকাল (মঙ্গলবার) তারা কঙ্গোকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়ে চলমান বাছাইয়ে টানা আট ম্যাচে জয়ের ধারা ধরে রেখেছে। ৬৩ মিনিটে মরক্কোর হয়ে একমাত্র গোলটি করেন ইউসেফ এন-নেসিরি। এর মধ্য দিয়ে ‘ই’ গ্রুপের শীর্ষে থাকা মরক্কো শতভাগ (২৪) পয়েন্ট বাগিয়ে নিয়েছে। আফ্রিকান অঞ্চলের বাছাইয়ে এবার আর কোনো দলেরই এমন কীর্তি নেই।
তবে মরক্কোর বীরত্বগাঁথা চলছে আরও আগে থেকেই। এ নিয়ে টানা ১৬ ম্যাচে জয়ের দেখা পেল আটলাস লায়ন্স খ্যাত মরক্কো। এর আগে সর্বোচ্চ টানা ১৫ ম্যাচ জয়ের রেকর্ড ছিল ২০১০ আসরের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন স্পেনের। ২০০৮ সালের জুন থেকে ২০০৯ সালের জুন পর্যন্ত সময়ে ওই কীর্তি গড়ে জাভি-ইনিয়েস্তাদের দল। ২০২৪ সালের মার্চে সর্বশেষ জয় ছাড়া ভিন্ন ফল (মৌরিতানিয়ার সঙ্গে গোলশূন্য ড্র) দেখেছিল মরক্কো। এরপর থেকে তারা এখন পর্যন্ত তারা বাছাইপর্বে ৭, আফ্রিকা কাপ নেশন্সে (আফকন) ৬ এবং ৩টি প্রীতি ম্যাচে জিতেছে।
গত ১৯ মাসে মরক্কোর এই বীরত্বের যাত্রায় প্রতিপক্ষের জালে ৫০ গোল করলেও, হজম করেছে মাত্র ৪টি। এর আগে স্পেন টানা ১৫ ম্যাচ জয়ের সময়কালে ৩৯ গোল করার পাশাপাশি মাত্র দুটি গোল হজম করেছিল। ২০০৯ কনফেডারেশন্স কাপের সেমিফাইনালে আমেরিকার কাছে হেরে স্প্যানিশদের সেই রেকর্ড-যাত্রা শেষ হয়। গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২-০ গোলে জয় ছিল ওই সময়ে তাদের ১৫তম জয়। এর আগে ২০০৮ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে রাশিয়াকে ৩-০ ব্যবধানে হারের মধ্য দিয়ে স্পেন জয়যাত্রা শুরু করে।
মরক্কো অবশ্য টানা জয়ের এই রেকর্ড আরও বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ আছে। বাছাইপর্বের লড়াই শেষ হওয়ায় আগামী মাসের ফিফা উইন্ডোতে প্রীতি ম্যাচ খেলবে তারা। যদিও এখনও তাদের প্রতিপক্ষ চূড়ান্ত হয়নি। এর আগে আগস্টে আফ্রিকান নেশন্স চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ের পথে মরক্কোর জয় পাওয়া ম্যাচগুলো হিসাবে আসেনি। শুধু দেশে খেলা ফুটবলারদের নিয়ে ‘বি’ সাজিয়ে ওই আসরে চ্যাম্পিয়ন হয় মরক্কো।