মেসির রেকর্ড গোলের ম্যাচে মায়ামির বড় জয়


মেসির স্কোরশিটে প্রথম নাম তোলেন ৭৪ মিনিটে। মাঝমাঠ থেকে বাড়ানো পাস কয়েকজনের মাঝে ফাঁকা জায়গা দিয়ে পেয়ে এক প্রতিপক্ষ ফুটবলারের বাধা টপকান মেসি। এরপর আগুয়ান ও নিচু হয়ে যাওয়া গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে আলতোভাবে তুলে দিয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। ৮২ মিনিটে পেনাল্টি পায় মায়ামি। এই ম্যাচ দিয়ে মাঠে ফেরা সুয়ারেজই নেন স্পট কিক, তার গোলে ফ্লোরিডার ক্লাবটি ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়। ৮৬ মিনিটে প্রতিপক্ষের ভুলে বল পেয়ে বক্সে ঢুকে মাটি কামড়ানো শটে দ্বিতীয় বারে বল জড়ান মেসি।
এর মধ্য দিয়ে মায়ামি গোলরক্ষক ওস্কার উস্তারি রেকর্ড ছয় ম্যাচে ক্লিনশিট ধরে রেখেছেন। এ ছাড়া টানা তৃতীয় ম্যাচে জিতেছে মায়ামি। এখন পর্যন্ত মেসি-সুয়ারেজদের দল চলমান এমএলএসে দলীয়ভাবে সর্বোচ্চ ৬৪ গোল করেছে। সর্বশেষ ৬ ম্যাচের পাঁচটিতেই তারা প্রতিপক্ষের জালে বল জড়িয়েছে ন্যূনতম তিনবার করে। আজকের জয়ে ২৯ ম্যাচে ৫৫ পয়েন্ট নিয়ে এমএলএস ইস্টার্ন কনফারেন্সের টেবিলে তিনে উঠেছে মায়ামি। দুটি ম্যাচ বেশি খেলে শীর্ষ দুইয়ে আছে যথাক্রমে ফিলাডেলফিয়া ইউনিয়ন (৬০) ও এফসি সিনসিনাতি (৫৮)।
বয়সটাকে যেন স্রেফ সংখ্যা প্রমাণে মরিয়া লিওনেল মেসি! অবশ্য তাকে ঘিরে ২০২৬ বিশ্বকাপে যেখানে আর্জেন্টাইনদের পরিকল্পনা, সেখানে মাঠে তার পারফরম্যান্স তো লাগবেই। ইন্টার মায়ামির জার্সিতে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে জোড়া গোল করলেন এই আলবিসেলেস্তে মহাতারকা। তাতে ভর করে নিউইয়র্ক সিটি এফসিকে ৪-০ গোলের বড় ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়েছে মায়ামি।
আজ (বৃহস্পতিবার) ভোরে নিউইয়র্কের সিটি ফিল্ডে স্বাগতিকদের তেমন সুযোগ দেয়নি হাভিয়ের মাশ্চেরানোর দল। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরার ম্যাচে মায়ামির পক্ষে পেনাল্টিতে গোল করেছেন সাবেক উরুগুইয়ান তারকা লুইস সুয়ারেজ। এ ছাড়া মেসি জোড়া এবং বালতাসার রদ্রিগেজ এক গোল করেন। ৫২ শতাংশ পজেশন রেখে ১২টি শট নেয় মায়ামি, যার লক্ষ্যে ছিল ৮টি। এ ছাড়া নিউইয়র্ক ৯ শটের কেবল ২টি লক্ষ্যে রাখতে পারে।
প্রথমার্ধের ৪৩ মিনিটে ম্যাচে লিড নেয় মায়ামি। মাঝমাঠে মেসির রক্ষণচেরা পাস পেয়ে বালতাসার বক্সে ঢুকে সামনে আগুয়ান গোলরক্ষকের পাশ দিয়ে বল জালে জড়ান। এর মধ্য দিয়ে মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) ইতিহাসে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে টানা দ্বিতীয় মৌসুমে ৩৫ গোলে অবদান রাখলেন এলএমটেন। দ্বিতীয়ার্ধে জোড়া গোলের পর মেসি এমএলএস ইতিহাসের চতুর্থ ফুটবলার হিসেবে এক মৌসুমে ৮ ম্যাচে একাধিক গোলের রেকর্ড গড়লেন।