1. হোম
  2. রাজনীতি

লন্ডনবাসীদের কাছে হাতজোড় করে কী অনুরোধ করলেন তারেক?

Staff Reporter
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
ঢাকা
প্রকাশিত: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:২৮ এএম
লন্ডনবাসীদের কাছে হাতজোড় করে কী অনুরোধ করলেন তারেক?

প্রায় দুই দশক পর আগামী ২৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখতে যাচ্ছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দীর্ঘ ১৮ বছর দেশ থেকে নির্বাসনে থাকার পর অবশেষে ফিরতে যাচ্ছেন তিনি।

২০০৭ সালে এক-এগারোর রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তারেক রহমান। ২০০৮ সালে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে চিকিৎসার জন্য দেশ ছেড়েছিলেন তিনি। লন্ডনে চিকিৎসা শেষে সুস্থ্য হলেও রাজনৈতিক কারণে দেশে ফেরা আর হয়নি তার।

এক-এগারোর রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর আর এরপর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় বসার কারণে দেশে ফেরাটা অনিশ্চিতই হয়ে পড়েছিল বিএনপির এই নেতার। তার নামে একশোটিরও বেশি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। এর ভেতর ৫টি মামলায় সাজাও হয়েছিল তার।

তবে ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী সরকারের পতন হলে দেশে ফেরার সম্ভাবনা তৈরি হয় তারেকের। ৫ আগস্টের পরবর্তী সময়কালে অগণিতবার তারেক রহমানের দেশে ফেরার কথা উঠলেও, কবে ফিরবেন তিনি দেশে সেটির বিষয়ে মিলছিল না কোনো সদুত্তর।

অবশেষে সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ২৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশে পা রাখতে যাচ্ছেন তারেক রহমান।

‘নির্বাসনের’ দীর্ঘ সময়টাতে তারেক লন্ডনবাসী যেভাবে সাহায্য পেয়েছেন, দেশে ফেরার প্রাক্কালে তাই তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশে বিন্দুমাত্র কুণ্ঠাবোধ করেননি তারেক রহমান। মঙ্গলবার বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে লন্ডনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে লন্ডনবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন তিনি।

একইসঙ্গে দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বিশেষ এক অনুরোধ করেন তারেক রহমান। বলেন, তাকে বিদায় দিতে কেউ যেন এয়ারপোর্টে না যায়।

তারেক বলেন, ‘আপনাদের সাথে আমি ১৮ বছর ছিলাম। আপনাদের সাথে আমার বহু স্মৃতি রয়েছে, বহু দু:খ কষ্ট আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। আপনারা আমার ও আমার দলের বিপদের সময় মানসিকভাবে সাহায্য-সহযোগিতা করেছেন, মানসিকভাবে সাহস যুগিয়েছেন। আজকে যারা লন্ডনে আছেন তাদের কাছে আমার বিনীত অনুরোধ, ২৫ তারিখে যখন আমি আপনাদের দোয়া ও আল্লাহর রহমতে দেশে ফিরে যাব, দয়া করে সেদিন আপনারা কেউ এয়ারপোর্টে যাবেন না।’

এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘এয়ারপোর্টে গেলে একটা হট্টগোল হবে, মানুষ জানবে এরা বাংলাদেশি। দেশের সুনাম নষ্ট হবে, দলের সুনাম নষ্ট হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যারা সেদিন এয়ারপোর্টে যাবেন না, আমার আজকের এই অনুরোধ যারা রাখবেন, আমি ধরে নেব তারা দল এবং সর্বোপরি দেশের স্বার্থে সম্মানের প্রতি মর্যাদা রাখবেন। আর আমার নিষেধ করা পরও যারা যাবেন, আমি ধরে নিতে বাধ্য হবো তারা ব্যক্তিগত স্বার্থের জন্য সেখানে গিয়েছেন।’

এদিকে ইতোমধ্যেই তারেক রহমানের দেশে ফেরার শেষ সময়কার প্রস্তুতিগুলো সম্পন্ন করছে বিএনপির নেতৃবৃন্দ। ২৫ তারিখ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছালে তাকে নেতাকর্মীরা সংবর্ধনা জানাতে উপস্থিত থাকবেন।

তারেক রহমানের জন্য বাসভবন এবং অফিস প্রস্তুত করা হয়েছে। রাজধানীর গুলশান এভিনিউর ১৯৬ নম্বর বাসাতে উঠবেন তারেক রহমান। এই বাসার পাশেই ভাড়া করা বাসা ‘ফিরোজা’য় থাকেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

গুলশানের বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের জন্য আলাদা চেম্বারও তৈরি করা হয়েছে। এ ছাড়া গুলশানে আরেকটি বাসা ভাড়া নেওয়া হয়েছে, যেটি থেকে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।