‘সন্ত্রাসীদের দৌড়ের ওপর রাখবেন, নয়তো আপনি থাকবেন দৌড়ের ওপর’
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে প্রভাবমুক্ত ও নিরাপদ রাখতে দেশের জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপারদের (এসপি) কঠোর হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ স্পষ্ট করে বলেছেন, ‘সন্ত্রাসীদের এলাকাছাড়া করতে হবে। তাদের দৌড়ের ওপর রাখুন, অন্যথায় তারাই আপনাদের দৌড়ের ওপর রাখবে।’
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে বিভাগীয় কমিশনার, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং ডিসি-এসপিদের সাথে এক গুরুত্বপূর্ণ মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সভার শুরুতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন সম্প্রতি সহিংসতায় নিহত শরিফ ওসমান হাদির আত্মার শান্তি কামনা করেন।
ইসি সানাউল্লাহ জানান, নির্বাচনে লেভেল প্লেইং ফিল্ড নিশ্চিত করতে শিগগিরই দেশজুড়ে যৌথ অভিযান শুরু হবে। এই অভিযানের মূল লক্ষ্য হবে দুটি; অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা ও চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা।
ভোটার ও প্রার্থীদের মধ্যে নিরাপত্তার আস্থা ফেরাতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েনের সময়সীমা বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করছে কমিশন।
বর্তমানে ভোটের সময় পাঁচ দিনের জন্য বাহিনী মোতায়েন করা হলেও তা বাড়িয়ে ছয় দিন করার প্রস্তাবনা রয়েছে। এছাড়া সারাদেশে মোবাইল চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি জোরদার করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আমরা কমান্ড, কন্ট্রোল ও কো-অর্ডিনেশন—এই ‘থ্রি সি’ নীতিতে কাজ করতে বলেছি।’
তিনি পরিষ্কার করেন যে, প্রতিটি বাহিনীর কমান্ড তাদের নিজস্ব হাতেই থাকবে, তবে একটি কেন্দ্রীয় সেলের মাধ্যমে সমন্বয় করা হবে যাতে কাজের পুনরাবৃত্তি না হয় এবং সর্বোচ্চ কার্যকারিতা নিশ্চিত করা যায়।
ইসি সানাউল্লাহ আরও যোগ করেন, স্থানীয় মানুষ জানে কারা অপরাধী। বর্তমানে দেশের সাধারণ মানুষ ভোটমুখী এবং তারা কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা চায় না। তাই জনগণের প্রত্যাশা পূরণে প্রশাসনকে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণের আহ্বান জানান তিনি।